শিরোনাম
◈ সৌদি আরবে দেখা গেছে চাঁদ, শনিবার প্রথম রোজা ◈ রাজধানীতে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ২২৮ ◈ রেফারির সমালোচনা, কোচ জোসে মরিনিয়ো চার ম্যাচ নিষিদ্ধ ◈ দুবাই স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা দেখতে আসা দর্শকরা বিনামূল্যে ইফতার পাবেন  ◈ জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ, নেতৃত্বে নাহিদ ও আখতার ◈ ভারত ও পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির বাংলাদেশে ঠাঁই হবে না: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ সবার আগে রমজান মাস শুরুর তারিখ ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া  ◈ উপদেষ্টা মাহফুজ সম্পর্কে অজানা তথ্য দিলেন তার শিক্ষক আব্দুর রব ◈ জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: বক্তব্য রাখছেন শীর্ষ নেতারা (ভিডিও) ◈ জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০ নেতা চূড়ান্ত, থাকছেন যাঁরা

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:৫০ দুপুর
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উপদেষ্টা মাহফুজ সম্পর্কে অজানা তথ্য দিলেন তার শিক্ষক আব্দুর রব

বই পাগল বা বই পোঁক যেভাবেই বলা হোক না কেন, তার জন্য সব বিশেষণই প্রযোজ্য। বই ছিল তার দুনিয়া। নিজের কাছে থাকা বই পড়া শেষ হলে সহপাঠীদের কাছে থাকা বই নিয়ে পড়তেন। তার এই বই পড়ার অভ্যাস এখনও রয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিয়ে এসব কথা বলেছেন তার শিক্ষক আব্দুর রব। 

তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক দারুস সুন্নাত দাখিল (প্রস্তাবিত আলিম) মাদ্রাসা সুপার। 

বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও ড. ফয়জুল হকের শিক্ষক যাত্রাবাড়ি দারুস নাজাত মাদ্রাসার সাবেক সহকারী শিক্ষক এবং সর্বশেষ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের শিক্ষাগুরু ছিলেন রব। 

 তিনি জানান, ২০১৩ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের ব্যাচটি ওই মাদ্রাসার ইতিহাসের সেরা ব্যাচ। মাহফুজ আলম, তার ভাই মাহবুব আলম এবং শিক্ষকের নিজের ছোট ভাইসহ একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল ব্যাচটিতে। ওই বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে মাহফুজসহ ৭জন ট্যালেন্টফুল বৃত্তি পেয়েছেন। এতে জেলার সেরা ফলাফল হয়েছিল মাদ্রাসাটিতে। সব শিক্ষকরা সার্বক্ষণিক তাদের লেখাপড়ার বিষয়ে নজর রাখতেন। সেই নজরদারিতেই ধরা পড়ে মাহফুজের বই পড়ার নেশার চিত্র। 

মাদ্রাসার ক্লাসে নির্ধারিত বইয়ের বাইরে কোন বই না আনার নিষেধ থাকলেও মাহফুজ লুকিয়ে লুকিয়ে বাড়তি বই নিয়ে আসতেন। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে সেসব বই পড়তেন। নিজের কাছে থাকা সব বই পড়া শেষ হলে ছুটতো সহপাঠীদের কাছে, এরপর শিক্ষকদের কাছে। তার নেশাই ছিল নতুন নতুন বই পড়া এবং জ্ঞান আহরণ করা। 

তবে মাহফুজ প্রাচীন বিষয় নিয়ে বেশি পড়াশোনা করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ার সময়েও প্রাচীন বিষয় নিয়ে পড়ার কারণে ইতিহাস নিয়ে বেশ কয়েকটি বই লিখতে সক্ষম হন। এখনও সময় পেলেই বই পড়েন এবং গবেষণা করার চেষ্টা করেন। 

মাহফুজ আলমের শিক্ষক জানান, ৬মাস আগে সে আমাকে ফোন করে পিরোজপুর থেকে প্রকাশিত প্রাচীন পত্রিকা ‘তাবলিকা’ প্রথম সংখ্যা থেকে সব সংখ্যা সংগ্রহ করে দিতে বলে। সে এগুলো নিয়ে গবেষণা করবে। বই পড়ার মূল কারণ সে এসব বিষয়ে গবেষণা করে। মাহফুজ মূলত ঐতিহ্যের সন্ধানে কাজ করার লোক। অর্থাৎ সে প্রাচীনের প্রতি মোহগ্রস্থ। এ কারণেই তার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ বেশি। প্রাচীনের কথা নিজে জেনে এদেশের মানুষকে তা জানাতে চান। 

শিক্ষক জানান, মাহফুজ শুধু দিনরাত বই নিয়ে পড়ে থাকতো, তা নয়। সে একজন মানবিক মানুষ ছিল। সহপাঠী, বন্ধু এবং আশপাশের লোকজনের বিপদে আপদে সহযোগিতা করতেন। ফলে চুপচাপ স্বভাবের লোক হলেও সকলের কাছে প্রিয়পাত্র ছিল মাহফুজ।  উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়