শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে যা বললেন তাসনিম জারা ◈ যুক্তরাষ্ট্র  ১৭ হাজার টন খাদ্য পাঠিয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য ◈ নাগরিকত্ব আইনে কেন পরিবর্তন এনেছে ইতালি, নতুন নীতিতে কী আছে?  ◈ বাংলাদেশের মতো ভারতেও অভ্যুত্থানের শঙ্কা: দি ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ বিএনপির বিরুদ্ধে এনসিপির বিস্ফোরক অভিযোগ ◈ প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর: নতুন অধ্যায়ের সূচনা বাণিজ্য-বিনিয়োগে  ◈ আরও কঠোর হচ্ছে ভারতে বিদেশিদের প্রবেশ-অবস্থান  ◈ গুলশান-বনানীর সড়ক ব্যবহারে যে নির্দেশনা দিলো ট্রাফিক বিভাগ ◈ ঈদ আনন্দ মিছিলে মূর্তি প্রদর্শনী নিয়ে জামায়াতের বিবৃতি ◈ ড. ইউনূসের প্রতিনিধিকে মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন, যে আলোচনা হলো

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪৮ দুপুর
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে, ‘তৌহিদি জনতা’ বলায় দুঃখ প্রকাশ : উপদেষ্টা মাহফুজ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে ‘তৌহিদি জনতা’ লেখার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বুধবার ভোরে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাহফুজ এই দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে মাহফুজ লিখেছেন, ‘জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে 

১.  এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬ টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হইসে।

ফলে, এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শের ও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর, জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারো সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি।  তবে, তারা অবশ্যই  পাবিলিক- প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা- স্কুল- কলেজের ছাত্রদেরকেই লেজিটিমেট নেতৃত্ব হিসাবে মানতেন। 

২. আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে । সবাইকে নিয়ে এগুতে হবে কিন্তু, Saboteur দের বাদ দিয়ে। Sabotage বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস - এসব যেকোন বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen's Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।

৩. আমার কোন কোন বক্তব্য হয়ত কারো কারো মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ- নাখোশ হয়েছেন,  আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দু:খপ্রকাশ করছি।
এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্যকোন বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে, সেক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে৷ ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিং বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা  জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জন্য জরুরি। আমরা জালিম বা মজলুম কোনটাই হতে চাই না। 

৪. আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এদেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। 

গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল৷ এখনো আছে বটে।  ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিক ভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেয়া যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়