ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন বিভাগের ছাত্র সাইয়েদ আব্দুল্লাহ সম্প্রতি এক বক্তব্যে সাবেক পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের রাজনৈতিক কৌশল ও দুর্বলতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, বিএনপি ভাঙতে না পারাই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা, যা দলটির সামগ্রিক শক্তিশালী অবস্থানকে দুর্বল করেছিলো।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করেই কৌশল চালায় এবং শুধুমাত্র ব্যালট বক্স সাপ্লাই করাকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মূল উপাদান হিসেবে ধরে নেয়, তাহলে তা কার্যকর গণতন্ত্র হতে পারে না।
তিনি মনে করেন, নির্বাচন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং অর্থনীতির সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করাই সরকারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া উচিত। যদি অর্থনীতি সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়, তাহলে যে কোনো সরকারের পতন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কয়েক বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল অবস্থানে ছিলো। তার মতে, এই দুর্বলতার পেছনে মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিএনপিকে ভাঙতে না পারা। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, বাস্তবে বিএনপির ঐক্য বজায় ছিল এবং দলটি ভাঙার চেষ্টা করেও সরকার সফল হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পলাতক আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে, বিএনপিকে ভাঙতে না পারাই তাদের বড় ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগ সরকার মনে করেছিল ‘ডামি প্রার্থী’ দিয়ে শক্তিশালী দল গঠন করা সম্ভব হবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং এই কৌশল উল্টো আওয়ামী লীগকেই একটি দুর্বল সরকারের কাঠামোর মধ্যে ফেলে দিয়েছিলো।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহর মতে, শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তা তাদের অবস্থানকে আরও নাজুক করে তুলেছিলো। বিএনপি একাধিক রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করেও সংগঠিত থাকতে পেরেছে। উৎস: সমকাল ও জনকণ্ঠ।
আপনার মতামত লিখুন :