শিরোনাম
◈ ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে সমঝোতা স্বাক্ষর ◈ কাশ্মীর নিয়ে কোনো ছাড় নয়, ১৩ লাখ ভারতীয় সেনাদের ভয় পায় না পাকিস্তান: জেনারেল আসিম মুনির ◈ দেশে প্রথমবার অভ্যন্তরীণ রুটে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু, রপ্তানিতে আসবে গতি ◈ 'টিপকাণ্ড' ঘিরে মানহানির মামলা: ১৬ তারকাকে আসামি করলেন সেই চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ◈ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা বাড়াচ্ছে আরাকান আর্মি, জাতীয় স্বার্থে আলোচনা সম্ভব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ কৃ‌ষি গু‌চ্ছের বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় ও বিষয় পছ‌ন্দের আবেদন শুরু ◈ বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পক্ষে ভারতের যুক্তি: ‘আগে বাংলাদেশ কী করেছে, সেটাও দেখতে হবে’ ◈ কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন মডেল মেঘনা: চার্জশিটে অভিযোগ ◈ মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের অভিযান: ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক ◈ দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকা-ইসলামাবাদে সচিব পর্যায়ের বৈঠক, শিক্ষা-বাণিজ্যসহ নানা খাতে সহযোগিতার অঙ্গীকার

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:১৬ দুপুর
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

এবার মাকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিলেন পুলিশের সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম

মাসুদ আলম: পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম তার মাকে নিয়ে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বলেন, মায়ের মত আপনজন এই পৃথিবীতে কেউ নাই।

ওই পোস্টে মনিরুল ইসলাম লিখেন, ‘২৩ ডিসেম্বর সারাদিন অফিসে সীমাহীন ব্যস্ততা শেষে আনুমানিক রাত ৯.৩০ টার দিকে ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটালে ঢুকলাম। কেবিনে ঢুকে দেখলাম মা বিছানায় অচেতন।

ঐদিনই ডায়ালিসিস করানো হয়েছে, হাত-পা অনেকটা ফুলে গেছে। মাকে অন্যান্য দিনের মতই হাত-পা স্পর্শ করে ‘মা’ বলে ডাকলাম, মা খুব কষ্টে কোনোমতে সাড়া দিলেও চোখ খুলে তাকায়নি। নভেম্বরের ১১ থেকেই মা হাসপাতালে, মাঝখানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে কয়েকদিন কেটেছে। গত কয়েকবছরে করোনার আগে পরে অনেকবারই মাকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। কিন্তু এবার হাসপাতালে ভর্তির তিন/চার দিন পর থেকেই মা হারানোর একটা আশঙ্কা নিয়েই প্রতিদিন সময় কাটাতে হয়েছে। সকালে বাসা থেকে হাসপাতাল, তারপর অফিস এবং অফিস শেষে হাসপাতাল হয়ে বাসায় ফিরতাম।

২৩ তারিখ হাসপাতাল থেকে ফেরার সময়ে ইনটুইশান বলছিলো যে দুই এক-দিনের মধ্যেই মা চলে যাবে। সেই রাতে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লেও বারবার অজানা আশঙ্কায় ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল। খুব ভোরে টেলিফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। মা ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরবেলায় আমাদেরকে ছেড়ে চিরতরে চলে যায়। আজ সেই ২৪ ডিসেম্বর। ২০২১ থেকে ২০২৪-তিন বছর কেটে গেল।

আমাদের এলাকার বহুসংখ্যক ছেলেমেয়ের আরবী ও বাংলা শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছে আমার মায়ের কাছে। তাদের কেউ কেউ আলেম হয়েছে পরবর্তীতে। বহু মানুষ আমার মায়ের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে। তাদের দোয়ার বরকতে মা নিশ্চয়ই ওপারে ভালো আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। যাদের মা-বাবা বেঁচে আছে, তারা সত্যিকার অর্থেই ভাগ্যবান। মায়ের মত আপনজন এই পৃথিবীতে কেউ নাই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়