নাসির উদ্দিন, ফেইসবুক থেকে : প্রকাশ্যে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। হোটেল-রেস্তোরাঁ এমনকি বিয়েবাড়িতেও গরুর মাংস পরিবেশন করা যাবে না। বিক্রি বা পরিবেশন করলেই কঠিন শাস্তি। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য কেবিনেটের। এ নিয়ে শীঘ্রই নাকি কঠোর আইন করা হবে।
আগেই এই রাজ্যে মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল। এবার পুরো রাজ্যেই জনসমক্ষে, হোটেল, রেস্তোরাঁয় গরু জবাই, বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ হলো।
আসামের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মুসলমান। ১ কোটি ৪০ লক্ষ মুসলমান জনসংখ্যার ঈদ কিংবা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও গরু নিষিদ্ধ। আসামের মুসলমান জনসংখ্যা বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যার (১ কোটি ৩১ লক্ষ) চেয়ে বেশি। অথচ এই ক্ষুদ্র রাজ্যও আইন করে মুসলমানদের অধিকার খর্ব করলো। অথচ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন হয় এমন কোনো আইন বা সরকারি সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘটনা কখনোই ঘটেনি।
অথচ ভারত সরকার ও মিডিয়াগুলো এমন প্রচার করছে যেন বাংলাদেশে হিন্দুরা উচ্ছেদ হয়ে গেছে। ভারত সরকার এবং জনগণের এমন অগনতান্ত্রিক আচরণ বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাজনীতির পথে ঠেলে দিচ্ছে। আসলে ভারতের মৌলবাদী দল বিজেপি চায় বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান হোক। এতে বাংলাদেশের মৌলবাদের জুজু তৈরি করে ভারতেও মৌলবাদী শাসন অব্যাহত রাখা যায়। বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও সুস্থ রাজনীতির পথে ভারতের মৌলবাদ প্রধান অন্তরায়।
আপনার মতামত লিখুন :