শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০২৪, ০৩:০৭ রাত
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফখরুদ্দীনের সরকার ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ...

মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী : ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যর্থ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ ছিল তার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মিডিয়াতে অনাবশ্যক ও বাড়াবাড়ি রকমের বক্তব্য দেয়া এবং সরকারের প্রশাসনিক প্রিম্যাচিউর সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে আলোচনার পর্যায়েই মিডিয়ায় কথা বলা। 

বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকা সরকারের জন্য অনেক বেশি সুফল বয়ে আনতে পারে। যেমন-শপথ নেয়ার পর থেকে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্ন হলো -- এই সরকারের মেয়াদ কতদিনের বা এই সরকার কতদিনের জন্য এসেছে? সরকারের অনেক উপদেষ্টা এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এটির উত্তর দেয়ার জন্য একমাত্র এবং সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্য কেউ নয়। এই একই প্রশ্ন ওয়ান ইলেভেনের সময়ও সাংবাদিকরা তখনকার উপদেষ্টাদের করতেন এবং উপদেষ্টারা একেকজন একেকরকম উত্তর দিতেন যা পরে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল। 

একটি সরকারের কেবিনেট মিটিংয়ে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সেটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তা জনসমক্ষে প্রকাশ করলে সেটির অনেক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাছাড়া আধুনিক যে কোনো সরকারের কৌশলগত বা স্ট্র্যাটেজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সফল হতে একটি বড় শর্ত হলো জনমত দরকার হয় না এমন কোনো বিষয়ে সরকারের প্রিম্যাচিউর কোনো বিষয় জনসমক্ষে আনতে হয় না।

যদি আনতেও হয় তাহলে সেটির পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরতে হয় না হলে অনেক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। ইতিমধ্যেই সরকারের প্রথম কেবিনট মিটিং শেষেই এই প্রবণতা দেখা গেছে। যেটা দেখা গেছে, সংবাদমাধ্যমে একই বিষয় নিয়ে দুই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কোনো গণমাধ্যম বলেছে ইঙ্গিত আবার কেউ বলেছে সিদ্ধান্ত। 

ফখরুদ্দীন সরকারের অনেক ক্ষতি হওয়ার পর সরকারের মূখপাত্র নিয়োগ করেছিল যাতে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে উপদেষ্টারা গণহারে কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করতে না পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়