শিরোনাম
◈ আমাদের পরামর্শ হয়তো আর দরকার নেই, এজন্য ডাকেনি : মুজিবুল হক চুন্নু ◈ পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার: বৈঠক শেষে গণফোরাম ◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৪, ১২:৫০ রাত
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ আপাতত শান্ত : এরপরে কী?

আবুল হাসনাৎ মিল্টন

আবুল হাসনাৎ মিল্টন: প্রায় এক সপ্তাহের উত্তাল অবস্থা পেরিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণে, তবে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশে আরও কিছুদিন প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনী রাজপথে থাকবে। অঞ্চলভেদে দেশের কোনো কোনো শহরে আংশিক কার্ফিউও বলবৎ থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। এরপর তাহলে কী? সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের এই পর্যায়ে মাঠে সর্বশক্তি নিয়ে নেমেছেন মার্কিন তাবেদার ড. মুহম্মদ ইউনূস। যেকোনো মূল্যে তিনি বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মরিয়া। এর জন্য তিনি তাঁর আন্তর্জাতিক কানেকশন এবং মিডিয়াকে কাজে লাগাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে বিএনপিসহ একাধিক বিরোধী দল এই মুহূর্তে সর্বদলীয় সরকারের দাবি তুলছে। বর্তমান সরকারকে হটাতে পারলে ভবিষ্যতে যে সরকার গঠিত হবে, তার নেতৃত্ব দিতে চান ড. ইউনূস। আর একবার ড. ইউনূস ক্ষমতা পেলে বাংলাদেশে আমেরিকা  জেকে বসবে। দেশে আমেরিকান সেনা ঘাঁটি হবে, বঙ্গোপসাগরে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাড়বে। পাশাপাশি দেশ আবার পরনির্ভর হতে শুরু করবে। দেশের উন্নয়নযাত্রা থমকে যাবে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও ক্ষুণ্ন হবে।

বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় উলফার মতো ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশ বিরোধী এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হওয়া সত্ত্বেও ড. ইউনূস মরণকামড় দেবেন। বাংলাদেশকে ঘিরে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোও দুইভাগে বিভক্ত। আমেরিকা এখন চাইলেই আগের মতো যা কিছু ঘটাতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান সংকটকালে তার মিত্রদেশগুলো শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। ড. ইউনূসের জন্য দুঃখ হয়। একজন নোবেল বিজয়ী এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে তার একটুও বাধে না। এর আগে পদ্মা সেতুতে যাতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে, তার জন্যও তিনি ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন। সাধে কি কবি প্রশ্ন তুলেছেন: ইউনূস তুমি কার? বাংলাদেশ না আমেরিকার? লেখক:কবি ও চিকিৎসক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়