শিরোনাম
◈ দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারের সব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাজে লাগাতে চাই: কোচ সিমন্স ◈ আমাদের পরামর্শ হয়তো আর দরকার নেই, এজন্য ডাকেনি : মুজিবুল হক চুন্নু ◈ পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার: বৈঠক শেষে গণফোরাম ◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:৩৫ রাত
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ এই তরুণ শিক্ষার্থীরাই

কাজী হানিয়াম মারিয়া

কাজী হানিয়াম মারিয়া: কারফিউর সময় বহুদিন পর টিভির সামনে বসেছিলাম দেশের পথঘাটের খবর নিতে। সন্ধ্যায় হল ভ্যাকেন্টের পর বেশির ভাগ ছাত্রীই হয় বান্ধবীর বাসায় বা কোনো আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলো। যারা বাড়ি যাবার টিকেট করতে পেরেছিলো তারা কেউ কেউ বহু কষ্টে যেতে পেরেছে। বলতে গেলে বেশির ভাগই ঢাকায় আটকে পরেছে। নিজের বাড়ি বাদে কোথাও এক-দুরাতের বেশি থাকাটা যে স্বস্তিদায়ক নয় তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। হল ভ্যাকেন্টের সময় এসব কর্তৃপক্ষের মাথায় ছিলো না। তাই চাইছিলাম শিক্ষার্থীরা অন্তত পরিবারের পাশে থাকুক। কারণ পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, মানুষ প্রিয়জনের সান্নিধ্যে থাকতে পছন্দ করে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, দেশের সব চ্যানেলে প্রায় একই রকম খবর প্রচারিত হচ্ছে এবং সব টকশোতে সবাই একইসুরে কথা বলছেন। সবার আফসোস দেশের এত এত সম্পদ নষ্ট হলো। 

কিন্তু কোথাও শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের খবর তো দূরের কথা, হতাহতের খবরও দেখলাম না। দুর্বিষহ সাতদিন পর সোশাল মিডিয়ায় ঢুকেই প্রথমে ইনবক্সের উপচে পরা মেসেজের রিপ্লাই করলাম। নিজে অনেকের খবর নিলাম। তারপর মনে হলো না ঢুকতে পারলেই ভালো হতো। কারণ আমি অনুভূতিহীন না, আমার মন মানুষের প্রাণের জন্য কাঁদে। হয়তো এই হাহাকার করতে করতে একদিন সব স্বাভাবিক হবে, কিন্তু যারা গেছে তারা ফিরে আসবে না। তাদের গল্পগুলো পরিবার-বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি হবে না, স্বপ্নগুলো পূরণ হবে না। তাদের আমরা সংখ্যায় গুণবো, কিন্তু পরিবারে যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা কোনোকিছু দিয়ে পূরণ হবে না। তারপর চোখে পড়লো সেই ভয়ংকর সহমত জেনারেশনের কপিপেস্ট স্ট্যাটাস।

মানুষের চোখ-কান-মুখ বন্ধ থাকলেও কোনো সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় যখন বিবেক বন্ধ থাকে। এরা বন্ধ বিবেক নিয়ে দেশপ্রেম দেখাতে গিয়ে আসলে মোসাহেবি করছে যেটা সুশাসনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। এই মোসাহেবদের দেখলাম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সম্পদ নিয়ে বেশ কয়েকটি পোস্ট করে ফেলেছে। আসলে নিজে তো সম্পদ হতে পারেনি, তাই মূল সম্পদ নিয়েই চিন্তাই করতে পারছে না। বাংলাদেশের মতো জনবহুল রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো আমাদের এই তরুণ শিক্ষার্থীরা। এই সম্পদের সঠিক পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণের ওপরই আমাদের দেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ২৫-৭-২৪। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়