আনিস আলমগীর: ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছিল। স্রোতের মতো নেমেছিল। সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষিপ্ততা নিয়ে নেমেছিল। বিএনপি-জামায়াত তাদের রাজনৈতিক সুবিধা নিতে এখানে ইন্ধন দিয়েছে, সন্ত্রাসে জড়িত হয়েছেÑতাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সব দোষ বিএনপি-জামায়াতের ঘাড়ে তুলে দিয়ে সরকারের আত্মরক্ষার সুযোগ নেই। সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এক বাজনা-ই বাজানো হচ্ছে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে সরকারের কোনো দ্বিমত না তাহলেও কার কারণে জল ঘোলা করে খেতে হলো, ছাত্রলীগ কি লাঠিয়াল বাহিনী, কেন তাদের সাধারণ ছাত্রদের মুখোমুখি করে চরম অপমান করা হলো, কেন কোনো রকম আলোচনা না করে সময়ক্ষেপণ করা হলো, কেন এতো হত্যা এবং নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হলো দেশে-জনগণ যদি তার কোনো হিসাব না পায়, সরকার যদি উপলব্ধি না করে, দায়ী ব্যক্তিদের সাজা না দেয়, যে আগুন জ্বলে উঠেছে, সেটি থামবে না।
হয়তোবা সাময়িকভাবে আগুন রাস্তায় দেখা যাবে না। কিন্তু মানুষের মনে থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর আগের সাংবাদ সম্মেলনে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিপরীতে সব ছাত্রকে রাজাকার বানিয়ে উস্কানি দিয়েছে সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক-সহ নানা মহল থেকে এখনো সেই উস্কানি, ভুল পরামর্শ দান থামছে না। সমস্যা হচ্ছে চারিদিকে তোষামোদের রাজ্যে স্বাধীন মতপ্রকাশ করাই এখন সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ। বক্তব্য যদি সরকারের পক্ষে যায় তাহলে সরকারের দালাল, বিপক্ষে গেলে বিরোধী দলের দালাল, সন্ত্রাসের উস্কানি দাতা। আমরা যার যার অবস্থান থেকে সবাই সাধু। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :