মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু: শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা ও সহিংসতার যে ঘটনা ঘটনা ঘটেছে, এর পেছনে সাধারণ ছাত্রসমাজ জড়িত নয় বলে বলেছে সরকার। রাষ্ট্রবিরোধী একটি চক্র ছাত্রদের আন্দোলনকে পুঁজি করে এই নাশকতা, সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কাজে সক্রিয় ছিলো। বাংলাদেশের রাজনীতিটা আসলেই খুবই অদ্ভুত। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীর কণ্ঠে এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নেই কোনো বক্তব্য। নেই কোনো প্রতিবাদ। এমনকি ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বলেননি কোনো কথা। কিন্তু কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ কোনো সরকারের বা সরকারি দলের সম্পদ নয়। কিংবা কোনো ব্যক্তি বিশেষের নয়। জনগণের অর্থে নির্মাণ করা হয়েছে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, সেতু ভবন, বাস টার্মিনাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অথচ তারা নীরব। এই নীরবতা আমাদের কী সংকেত দেয়? নিশ্চয়ই দেশ প্রেমিকতা নয়?
সরকারবিরোধী আন্দলনের নামে যারা এসকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা এখন দায়িত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের কর্তব্য। এই নাশকতা, সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কাজ যারা করেছে, তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে স্তব্দ করে দিয়েছে। সারা বিশ্ব এ ধরনের সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করে থাকে। আমি আশা করবো, বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম হবে না। সরকার ছাত্রদের এই আন্দোলনকে প্রথমেই আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান করতে পারতো। কিন্তু তা না করে ভিন্ন পথ ও কিছু অযৌক্তিক কথার কারণে ঝরে গেলো এতোগুলো প্রাণ।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সফলতাকে আমি স্বাগত জানাই। এই আন্দলন করতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই সমবেদনা এবং যারা আইনের দৃষ্টিতে এই হত্যার জন্য দোষী তাদের করতে হবে বিচার। ছাত্র-ছাত্রীদের এখন চক্রান্তকারীদের হাতের শিকার না হয়ে, তাদের কথায় কান না দিয়ে যার যার ক্লাসে ফিরে যেতে হবে। সব কথার শেষ কথা হলো, আগামী দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আত্ম সমালোচনা, আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধি হতে হবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চলার পথের পাথেও। একমাত্র তাহলেই জয় হবে মুক্তিযুদ্ধের, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি। লেখক: ইলেকটেড মেম্বার, সুইডিশ লেফট পার্টি স্টকহোম ডিসট্রিক্ট ব্রাঞ্চ
এসবি২