আশরাফুল আলম খোকন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে?’ এখানে কোথায় তিনি আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলেছেন? এর মধ্যে কেউ যদি রাজাকার অপবাদ খুঁজে পায়, তাহলে ওই মেধাবী জাতির কোনো কাজে আসবে না। আমার বিশ্বাস সাধারণ শিক্ষার্থীরা, এই ঊর্বর মস্তিস্কের শ্লোগানের আবিষ্কারক না। যারা আবিষ্কারক, তারা ওই রাজাকারেরই নাতি-নাতনী, নতুবা তাদের গায়ে লাগবে কেন?
আন্দোলনের স্বার্থে, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের উচিত এই শ্লোগানের স্রষ্টা রাজাকারদের খুঁজে বের করে, আন্দোলন থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করা। কারণ এই দেশের সাধারণ মানুষ কখনো রাজাকারদের সমর্থন দিবে না।
রাজাকার শ্লোগান, এই আন্দোলনের মূলে কুঠারাঘাত। আন্দোলনকারীরা প্রথমে কোটা বাতিল চেয়েছেন, পরে সংস্কারের কথা বলেছেন। সংস্কারের পক্ষে সবারই সমর্থন ছিলো। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে আপিল হয়েছে, সেখানে সরকার পক্ষের আইনজীবীও ছিলেন। ভুলে গেলে চলবে না, এই দেশ কিন্তু গোলাম আযমদের ধারণ করে না। এই দেশ ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশ। এখানে নিজেকে রাজাকারদের স্বীকৃত উত্তরসুরী শ্লোগান দিয়ে হ্যাডম দেখানো, অপরিপক্কতা ও ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ। ১৫-৭-২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :