শিরোনাম
◈ আমাদের পরামর্শ হয়তো আর দরকার নেই, এজন্য ডাকেনি : মুজিবুল হক চুন্নু ◈ পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার: বৈঠক শেষে গণফোরাম ◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:২৭ রাত
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চূড়ান্ত বিচারে সব সহিংসতাই মানবতার অপমান, নিন্দনীয়

আজিজুর রহমান আসাদ

আজিজুর রহমান আসাদ: রাজনীতিতে সহিংসতা নানা ধরনের আছে, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক। রাজনীতিতে সহিংসতা নিয়ে নানা পক্ষপাত আছে। আমার পক্ষে হলে, অবুঝদের আবেগের কাজ, নীরব সমর্থন থাকে। বিপক্ষে হলে, সোচ্চার হই। সহিংসতা ও আত্মরক্ষার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের পার্থক্য আছে। ১৯২২ সালে উপমহাদেশের সাম্যবাদীদের কাছে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের চিঠিতে সশস্ত্র সংগ্রামের কথা ছিল, ব্যাখ্যা সহ। বলা হয়েছিল, সাম্যবাদীরা নীতিগতভাবে সহিংসতার বিরুদ্ধে। কিন্তু বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ সশস্ত্র এবং এদের উচ্ছেদ নিরস্ত্রভাবে করা যাবে না। এটি ছিল অভিমত ও ইংগিতও। মানে সামরিক প্রস্তুতির। সশস্ত্র আক্রমণ হলে ভারতীয় সাম্যবাদীরা যেন, সশস্ত্র প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা যায়।  

সহিংসতার একটি উদহারণ লেখক ব্লগার হত্যা। এই হত্যা জায়েজ, এটা ছিল হেফাজতের অবস্থান। ইসলামের জন্য নাস্তিকদের হত্যা ‘ওয়াজেব হয়ে গেছে’, এই ছিল জামায়াত-হেফাজত-চরমনাইসহ অধিকাংশ ইসলামপন্থিদের মনোভাব। এরা জঙ্গিবাদী সহিংসতার বৈধতা দেয়, ধর্মের নামে, ইসলামের নামে। ক্রুসেড, জ্বিহাদ কিংবা আজকের ইজরায়েলের ইহুদি সেটেলারদের প্যালেস্টাইনি নারী ও শিশু হত্যা, ধর্মের নামে। শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও নান্দনিক আন্দোলন সম্ভব। ২০১৩ সালে শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন ছিল, সংগীতে, মোমের আলোয়, ফুলের সমাহারে ও নানা শিল্পকর্মে। মায়েরা গিয়েছেন শিশু সন্তানকে বুকে নিয়ে। গণআন্দোলনের রাজনীতিতে সহিংসতার প্রয়োজন নেই, বাঙালি জাতির এক মহান অভিজ্ঞতা।  

ছাত্রলীগের সহিংসতা যা আসলে গুন্ডামি, পাকিস্থান আমল থেকে চলে আসা সরকারি সমর্থকদের রাজনৈতিক গুন্ডামির ধারাবাহিকতায়। ছাত্রলীগের এই গুন্ডামির চেহারা দেখার সুযোগ হলো। এটি কাউকে আঘাতের চেয়ে, অপমান করার বার্তা বেশি। ‘তুমি কেউ না, তোমাকে পিটিয়ে রাস্তা ছাড়া করতে পারি’Ñএই ঔদ্ধত্য ও ব্যাটাগিরি দেখা খুবই পীড়াদায়ক। ‘হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাটা হয়ত দুই পক্ষের জন্যই খাটে। যারা কুকুরের গলায় ‘কোটাধারী’ প্ল্যাকার্ড ঝুলায়, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে, এবং যারা হেলমেট পরে কাউকে নির্বিচারে পেটায়। সবটাই মূলত সহিংসতার পন্থা, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক। চূড়ান্ত বিচারে সকল সহিংসতাই মানবতার অপমান, নিন্দনীয়। লেখক: গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়