আফসান চৌধুরী: মেয়েটি আমার প্রাক্তন ছাত্রী, সাভার থেকে আসতো ক্লাস করতে। মেয়েটা আসলেই বস্তিবাসিনী, চরম দারিদ্রের সাথে লড়তে লড়তে এতদূর আশা। মাস্টার্স ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস পড়ছিলো। সাভার থেকে ঢাকা থেকে ফেরা-৫-৬ ঘণ্টা কেবল রাস্তাতেই। তারপর তো সংসার। যে করেনি সে জানবে কীভাবে। [২] পাস করার পর শুরু হলো রুজি সংগ্রহের সংগ্রাম। ইওএউ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মেয়েটার একটা কাজ হয়, পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পায়, খাতিরে নয়। একসময় আর এক ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় মাস্টার্স করার সুযোগ আসে। তার মুরুব্বিরা সহায়তা করে সাহায্য করে। কিন্তু যে দারিদ্রের কাঠামো থেকে মেয়েটা এসেছে, সেখান থেকে নিষ্কৃতি অত সহজ নয়। একসময় অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হবার জোগাড় হয়। তারপর কোনোভাবে কিছু একটা ব্যবস্থা হয়। চিন্তায় থাকতাম কী হবে এই ভেবে। আজ মেয়েটা ফোন করে জানালো পরীক্ষায় পাস করেছে এভারেজ ৪.৭৫। দারুণ রেজাল্ট। চোখের সামনে দেখলাম দেখছি মেয়েটা লড়ছে, আঘাত পাচ্ছে, উঁঠছে, লড়ছে, জিতছে। থামাথামি নাই আপা, লড়াইতে তুমি জিতবেই। লেখক ও গবেষক