শিরোনাম
◈ আদালতে  শাজাহান খানের নালিশ ◈ সংবিধানবিরোধী আইন বাতিলের দাবি: উত্তাল ভারত, ওয়াকফ সংশোধন নিয়ে ভারতের মুসলিমদের দেশজুড়ে বিক্ষোভ ◈ ঘোমটা তুলতেই দেখা গেল বদলে গেছে কনে, মেয়ের বদলে মায়ের সঙ্গে বিয়ে! ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেছে বিএনপি, আলোচনায় নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যু ◈ হিন্দু নেতার মৃত্যুকে নিপীড়নের অংশ বলা ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ ◈ সুবিধা না পেলেও বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে হবে: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ◈ সারা দেশে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঢল, গ্রেপ্তার অভিযানে কড়া নজরে পুলিশ ◈ ছাব্বিশের এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে! ◈ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মাইক্রোসফটের ভূমিকা নিয়ে কর্মীদের তীব্র প্রতিবাদ, বরখাস্ত ও পদত্যাগে উত্তাল পরিবেশ ◈ লা লিগায় ‌তিন গো‌লে পি‌ছি‌য়ে থাকা বা‌র্সেলোনা জিত‌লো ৪-৩ গো‌লে 

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন যে, বিষয়টা এখন আদালতের হাতে

ইমতিয়াজ মাহমুদ

ইমতিয়াজ মাহমুদ: ‘প্রধানমন্ত্রীর ভুল কথার জবাবে-১১’Ñ এই শিরোনামে আনু মুহাম্মদ তার ফেসবুকে একটা লেখা পোস্ট করেছেন। লেখাটা শুরু করেছেন এই বলে যে, ‘একটু আগে কোটা আন্দোলন নিয়ে আপনার কথা শুনলাম। আপনি বললেন, আদালতের রায়ের ক্ষেত্রে আপনার কিছু করার নেই, অথচ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনমতো নিজেরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাহলে?’ আনু মুহাম্মদের এই কথাটা ভুল। আনু মুহাম্মদ পণ্ডিত মানুষ, অধ্যাপক ছিলেন, ভালো মানুষ, কিছু আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে সকলেই পছন্দ করে, তাঁর কিছু ভক্তও আছে, যারা তাঁকে পীরের মতো মানে। এসব কারণে তিনি এরকম কিছু বললে সেটা চট করে ছড়িয়ে পড়ে, তিনি ভুল কথা বললে ভুলটাই সত্যি রুয়োয়ে ছড়িয়ে পড়ে আর সেটার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তরুণদের উপর। সুতরাং তাঁর দায়িত্বও হচ্ছে ফেসবুকের ওই পোস্টটা সংশোধন করে ভ্রান্তিটা দূর করা। ভুলটা কোথায় বলছি। নির্বাহী বিভাগ কোটা সংস্কার করতে পারে। সেই ক্ষমতা অবশ্যই নির্বাহী বিভাগের। ওরা কোনো একটা খাতে কোটা কমাতে পারে, বাড়াতে পারে, নতুন কোটার খাত যোগ করতে পারে, পুরনো কোনো কোটা বাদ দিতে পারে। ক্ষমতাটা নির্বাহী বিভাগেরই। আপনি এইটাকে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বও বলতে পারেন। কিন্তু আদালতে যখন কোনো একটা মোকদ্দমায় কোনো অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা বা স্থিতাবস্থার আদেশ দেওয়া থাকে, তখন নির্বাহী বিভাগ আর সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না। কোটা সংক্রান্ত একটা মোকদ্দমায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে একটা স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। 

এই অবস্থায় নির্বাহী বিভাগ কোটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, সেটা হবে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করা বা আদালতের কর্তৃত্বকে হেয় করা বা আদালত অবমাননা করা। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন যে বিষয়টা এখন আদালতের হাতে, আদালতের পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এখন কিছু করার নাই, এটা প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। আনু মুহাম্মদ আমার ফেসবুকে যুক্ত নন, কিন্তু আমার বন্ধুদের মধ্যে ৪০০র উপর বন্ধু আছেন যারা আনু মুহাম্মদেরও বন্ধু। আপনারা কেউ মেহেরবানী করে প্রফেসর সাহেবের দৃষ্টিতে আনুন ব্যাপারটা। আগেই বলেছি, আপনার ভুল বা আমার ভুল আর আনু মুহাম্মদের ভুল সমান গুরুত্ব বহন করে না। আপনার আমার ভুল থেকে তর্ক হতোয়ে পারে, গালাগালি হতে পারে,কিছু লোকের মধ্যে মনমালিন্য হতে পারে, কিন্তু বড় বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা কম। আনু মুহাম্মদের ভুল থেকে বড় বিপর্যয় হতে পারে। আনু মুহাম্মদের ভক্তরা, তার ভ্রান্তিটা আনুকে জানানো এটা আপনাদেরও দায়িত্ব। গোসা না করে এই দায়িত্বটা পালন করুন। ১৫-৭-২৪। যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/রসঃরধু.সধযসড়ড়ফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়