শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন যে, বিষয়টা এখন আদালতের হাতে

ইমতিয়াজ মাহমুদ

ইমতিয়াজ মাহমুদ: ‘প্রধানমন্ত্রীর ভুল কথার জবাবে-১১’Ñ এই শিরোনামে আনু মুহাম্মদ তার ফেসবুকে একটা লেখা পোস্ট করেছেন। লেখাটা শুরু করেছেন এই বলে যে, ‘একটু আগে কোটা আন্দোলন নিয়ে আপনার কথা শুনলাম। আপনি বললেন, আদালতের রায়ের ক্ষেত্রে আপনার কিছু করার নেই, অথচ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনমতো নিজেরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাহলে?’ আনু মুহাম্মদের এই কথাটা ভুল। আনু মুহাম্মদ পণ্ডিত মানুষ, অধ্যাপক ছিলেন, ভালো মানুষ, কিছু আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে সকলেই পছন্দ করে, তাঁর কিছু ভক্তও আছে, যারা তাঁকে পীরের মতো মানে। এসব কারণে তিনি এরকম কিছু বললে সেটা চট করে ছড়িয়ে পড়ে, তিনি ভুল কথা বললে ভুলটাই সত্যি রুয়োয়ে ছড়িয়ে পড়ে আর সেটার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তরুণদের উপর। সুতরাং তাঁর দায়িত্বও হচ্ছে ফেসবুকের ওই পোস্টটা সংশোধন করে ভ্রান্তিটা দূর করা। ভুলটা কোথায় বলছি। নির্বাহী বিভাগ কোটা সংস্কার করতে পারে। সেই ক্ষমতা অবশ্যই নির্বাহী বিভাগের। ওরা কোনো একটা খাতে কোটা কমাতে পারে, বাড়াতে পারে, নতুন কোটার খাত যোগ করতে পারে, পুরনো কোনো কোটা বাদ দিতে পারে। ক্ষমতাটা নির্বাহী বিভাগেরই। আপনি এইটাকে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বও বলতে পারেন। কিন্তু আদালতে যখন কোনো একটা মোকদ্দমায় কোনো অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা বা স্থিতাবস্থার আদেশ দেওয়া থাকে, তখন নির্বাহী বিভাগ আর সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না। কোটা সংক্রান্ত একটা মোকদ্দমায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে একটা স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। 

এই অবস্থায় নির্বাহী বিভাগ কোটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, সেটা হবে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করা বা আদালতের কর্তৃত্বকে হেয় করা বা আদালত অবমাননা করা। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন যে বিষয়টা এখন আদালতের হাতে, আদালতের পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এখন কিছু করার নাই, এটা প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। আনু মুহাম্মদ আমার ফেসবুকে যুক্ত নন, কিন্তু আমার বন্ধুদের মধ্যে ৪০০র উপর বন্ধু আছেন যারা আনু মুহাম্মদেরও বন্ধু। আপনারা কেউ মেহেরবানী করে প্রফেসর সাহেবের দৃষ্টিতে আনুন ব্যাপারটা। আগেই বলেছি, আপনার ভুল বা আমার ভুল আর আনু মুহাম্মদের ভুল সমান গুরুত্ব বহন করে না। আপনার আমার ভুল থেকে তর্ক হতোয়ে পারে, গালাগালি হতে পারে,কিছু লোকের মধ্যে মনমালিন্য হতে পারে, কিন্তু বড় বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা কম। আনু মুহাম্মদের ভুল থেকে বড় বিপর্যয় হতে পারে। আনু মুহাম্মদের ভক্তরা, তার ভ্রান্তিটা আনুকে জানানো এটা আপনাদেরও দায়িত্ব। গোসা না করে এই দায়িত্বটা পালন করুন। ১৫-৭-২৪। যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/রসঃরধু.সধযসড়ড়ফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়