শিরোনাম
◈ ইরানে হামলা করলে বিপর্যয় নেমে আসবে: রাশিয়ার হুঁশিয়ারি  ◈ নির্বাচনের সম্ভব্য সময় নিয়ে বিতর্ক, সন্দেহ-সংশয়ে রাজনীতিবিদরা ◈ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন: প্রথম দিনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন দু’জন ◈ দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট: ক্ষমা চেয়ে ৪ দফা দাবী তুলে ধরেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা ◈ পরিবারসহ রাতের আঁধারে ভারতে যাওয়ার পথে ধরা পড়লেন তারা ◈ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতার, বিজিবির বাধায় পণ্ড ◈ ১৯ দিনে ডেঙ্গুতে ৭৮ জনের প্রাণহানি ◈ সৌদির টিভি অফিসে হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ বলায় হামলা-আগুন ◈ স্বর্ণের দামে বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস ◈ প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন আউটসোর্সিং কর্মীরা

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০২:৩৬ রাত
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা সংস্কারের পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘সরকারি দলের কোটা’ বা দুর্নীতি আর নিয়োগবাণিজ্যের উৎস দূর করা

আনু মুহাম্মদ

আনু মুহাম্মদ: একজন মুক্তিযোদ্ধার, একজন শহীদের, নির্যাতিত মানুষদের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে যে অবদান তাতে তাঁদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের ঋণ পরিশোধযোগ্য নয়। কিন্তু সেই মানুষদের তালিকা এখনও অসম্পূর্ণ। শহীদদের পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ খুবই খন্ডিত। এগুলোর জন্যও সরকারের সাথে যেরকম যোগাযোগ ও চুক্তির ক্ষমতা লাগে, সেটা কজন মুক্তিযোদ্ধার আছে? কটি শহীদ পরিবার সে পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে? তার ফলে গ্রামে গ্রামে, শহরে বন্দরে এমন অনেক পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায় যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ ত্যাগ করে, সর্বোচ্চ লড়াই করেও পরে নিগৃহীত, বঞ্চিত হয়েছেন। শহরের সুবিধাভোগী পরিবারের কেউ কেউ এই পরিচয় নিয়ে নানাভাবে নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারলেও শ্রমিক, ক্ষেতমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষের জীবনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সরকার যদি সমস্যাজর্জরিত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যথাযথভাবে যোগ্য করে তুলতে ভূমিকা পালন করতো তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও সম্মানজনক হতো।

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে এখনও বির্তক এবং প্রশ্নের সুরাহা হয়নি। এতো বছরেও মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, যুদ্ধাপরাধী তালিকা সম্পূর্ণ হয়নি। আর তার কারণে সরকার বদলের সাথে সাথে তালিকার পরিবর্তন ঘটে। এক সরকারের অধীনেও বদলাতে থাকে। এখনও মাঝে মধ্যে পত্রিকায় খবর আসে, রাজাকারের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়, ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে উচ্চ পদে আসীন। ক্ষমতাবানদের স্পর্শ থাকলে যে রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় তার প্রমাণ আমরা বহুবার পেয়েছি।

কোটা পরিচয় নিয়ে বর্তমানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানেরা তাই বড় যন্ত্রণার মধ্যে আছেন। করুণা নয়, সম্মান তাঁদের প্রাপ্য। সরকার যে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অনুপাত শতকরা ৩০ ভাগ করেছে, সন্তানের পর এখন নাতি-পুতি পর্যন্ত কোটা সম্প্রসারিত করেছে, এটা কি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসার জন্য, তাদের প্রতি দায়বোধের জন্য? বাস্তব পরিস্থিতি তা বলে না। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলা যায় যে, সরকার এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষমতাবানদের বেশি বেশি কোটা রাখার আগ্রহ এই কারণে যে, এর মাধ্যমে তারা নিজেরা নিজেদের পছন্দমতো লোকজনকে চাকরি দিতে পারে, সুবিধামতো নিয়োগ বাণিজ্য করতে পারে। সেজন্য ভুয়া সার্টিফিকেটের জোয়ারে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের সন্তানেরাও হারিয়ে যাচ্ছে। অলিখিত প্রবল যে কোটা এখন অন্যসব কোটার ওপর দাপট চালাচ্ছে  সেটা হলো ‘সরকারি দলের কোটা’। কোটা সংস্কারের পাশাপাশি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ-‘সরকারি দলের কোটা’ বা দুর্নীতি আর নিয়োগ বাণিজ্যের উৎস দূর করা। ১১-৭-২৪,  https://www.facebook.com/anumuhammadbd

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়