আনিস আলমগীর: আমি কে, তুমি কে রাজাকার রাজাকার! গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুখে এ ধরনের স্লোগান অগ্রহণযোগ্য। উস্কানিমূলক। লজ্জাজনক। এটি মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের গৌরবকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। ইতোমধ্যেই অনেক রাজাকার প্রজন্মের উল্লাস দেখতে পাচ্ছি এই স্লোগান দেখে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর পরেও চাকরিতে ৫০ শতাংশের বেশি কোটায় নিয়োগ দেওয়া আমার ধারণা আজ কেউ সমর্থন করে না। এটি অন্যায়। এটিকে অবশ্যই যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে এবং সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট আনতে হবে এবং সময়সীমা বেধে দিতে হবে।
চাকরিতে নয়, মেধাবী বানানোর জন্য শিক্ষায় প্রচুর পরিমাণে কোটা দিতে হবে। যেহেতু এটি এখন আদালতের হাতে, তাই সকল প্রকার উস্কানি, পাল্টা উস্কানি পরিহার করে কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছাত্র প্রতিনিধি, সরকারপক্ষ আলোচনায় বসে এটিকে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে একমত হয়ে, আদালতের মাধ্যমে সমাধান আনতে হবে। আমরা রাজপথের রক্ত চাই না। সংঘর্ষ চাই না, জনদুর্ভোগ চাই না। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ১৫-৭-২৪। ফেসবুক থেকে