আফসান চৌধুরী: বাসার জন্য একটা পিৎজা কিনতে গিয়েছিলাম। চটপটে কিশোরী-তরুণী মেয়েটা যখন প্যাকেটটা দিচ্ছে জিজ্ঞাসা করলাম, কী করে। সে বললো, পড়ে আর এখানে সপ্তাহে একদিন পার্টটাইম। ৬ মাসে ৬০ হাজার। ‘বাবা-মা আমাকে এতো কষ্ট করে পড়িয়েছে, তাই একটা টাকাও খরচ করিনি, তাদের যদি লাগে তাই জমাচ্ছি’। মেয়েটা স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক পড়ছে ইংরেজিতে। ‘পাস করার পর কী করবেন?’ স্যার, বিসিএস তো দেবই। ‘সবার এক স্বপ্ন। অথবা এটা ছাড়া আর কিছু জানে না, কেউ বলে না।
[২] বললাম, বিসিএস খুব ভালো কথা। তবে কিনা হিসাব হলো ১০০ তে ১ জন মাত্র পায়। বাকি ৯৯ জন কই যাবে?’
মেয়েটা চুপ করে রইলো। ‘আপনি কি ভালো স্টুডেন্ট?’ না তেমন না ও ‘তাহলে?’ মেয়েটা ভাবেনি এইসব কোনোদিন। ‘প্রশ্নপত্র কেনার টাকা আছে?’ না ‘এন্ট্রির সময় টাকা দিতে পারবেন?’ না। তাহলে কী মনে হয়? আসলে আর কিছু সে ভাবেনি। সবাই এক সোনার হরিনের পেছনে দৌড়াচ্ছে, পা থাকুক আর না থাকুক।
[৩] মেয়েটাকে ফ্রিল্যাংসিংয়ের দুইটা সাইটের ঠিকানা দেখিয়ে দিলাম। ‘এগুলাও করেন যতদিন কিছু না হয়। দেখেন কী হয়। নিজে যদি কিছু করতে পারেন সবচেয়ে ভালো, যাই হোক সেটা। সবার বিসিএস হবে না। তাদেরও তো বাঁচতে হবে’। আমি উঠে এলাম , জানি না কোনো আসর হবে কিনা আমার কথার। মনে হয় না।
[৪] কিন্তু ১০০ জনে যে ৯৯ জন বিপদে পড়ছে তার খবর কেউ রাখে না, বলে না। এবছর ৩১০০ পোস্টের জন্য ৩২৫০০০ মানুষ পরীক্ষা দেবে। যারা ‘বিসিএস ছাড়া কই যাবে, এটাই তো মধ্যবিত্তের ঠিকানা বলছেন তারা কি জানেন কার জন্য বলছেন?’ কোটা পলিটিক্স অন্য বিষয় কিন্তু এই ৯৯ শতাংশ আশা করা মানুষ কই যাবে এটা কেউ বলছেন না। লেখক ও গবেষকজ