শামীম আহমেদ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নী টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার সরকারের সিটি মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছেন। একই সাথে আরেক বাংলাদেশি ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী পেয়েছেন স্থানীয় সরকারের জুনিয়র মন্ত্রীর দায়িত্ব। কী ভীষণ গর্বের ব্যাপার, অভিনন্দন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের নতুন প্রজন্মের যে দুজন মানুষ সবচেয়ে সক্রিয়, সৎ ও যোগ্য বলে প্রতীয়মান, তারা কেউই বাংলাদেশের কোনো পদে বা দায়িত্বে নেই। এদের একজন তো টিউলিপ, আরেকজন শেখ হাসিনার কন্যা পুতুল। পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। এই ব্যাপারটা কয়েকভাগে বিশ্লেষণ করা যায়। এক. যোগ্য মানুষরা দেশে কোন দায়িত্বে থাকতে চান না, বা সেখানে মেধা কাজে লাগিয়ে উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ‘সৎভাবে’ কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
দুই. দেশ যোগ্য ও মেধাবী মানুষকে দেশের কাজে লাগাতে আগ্রহী না, ফিরিয়ে আনতেও আগ্রহী না; বরঞ্চ দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজের অসততা, দুর্নীতিকে পুঁজি করে খালি মাঠে গোল দিতেই বেশি আগ্রহী। আরেকভাবেও এই ঘটনা ব্যাখ্যা করা যায়। হয়ত দেশে নেই বলেই তারা সৎ ও যোগ্যতা দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের তুলে ধরতে পেরেছেন। দেশে থাকলে হয়তো পারতেন না। তাহলে এভাবেই টাকার অভাবে মেধা দেশ ছাড়বে আর টাকাও মেধার জায়গা নিয়ে নেয়া শঠদের হাত ধরে দেশ ছাড়বে। দিনের শেষে দেশে পড়ে থাকবে মশা, ধুলা, গরম, চোর-বাটপার আর ব্যর্থতা। লেখক ও গবেষক। ১০ জুলাই ২০২৪
আপনার মতামত লিখুন :