সাদিক খান : ফার্স্ট তুলনাটা এসেছিলো কাকার সাথে। সেই কাকা ফুটবলকে বিদায় বলেছেন আরো ৭ বছর আগে। আর তিনি এই ৭ বছর পরেও দলকে আরো একটা ফাইনালে তুলে বসে আছেন। এরপর তুলনা করা হলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাথে। সেই রোনালদো বিশ্বকাপের নক আউটে কোনো গোল করতে না পেরে সতীর্থর সাথে মারামারি করলো। আর তিনি নকআউটে গোল, ফাইনালে জোড়া গোল করে, আরো একটা গোল্ডেন বল, সাথে বিশ্বকাপ জিতে বুঝাইয়া দিলেন, উনি পেলে বা ম্যারাডোনার পাশে থাকতে এসেছেন। আরো একটা ইউরো রোনালদো যখন শেষ করলেন কোচ আর সতীর্থদের বিরক্তির কারণ হয়ে, তখন লাউতারো এখনও গোল দিয়ে আগে খুঁজে বের করে মেসিকে। মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনার সেলিব্রেশন এখনও হয় না।
নেইমারের সাথে মেসির তুলনা কম হয়েছে। বন্ধুত্ব হয়েছে বেশি। বার্সার শেষের দিকে এসে মেসি পেনাল্টি আর ফ্রি কিকের সুযোগ নেইমারকে দিচ্ছিলেন বেশি। বোঝাই যাচ্ছিলো, নিজের ব্যাটনটা মেসি নেইমারের হাতেই তুলে দিতে চান। সেইটাও হলো না। নেইমারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত, বার্সার হঠকারিতা আর ইনজুরির দুর্ভাগ্য নেইমারকে ছিটকে ফেললো রেস থেকে। ছিটকে পড়েননি মেসি। বরং এখনও ওই ব্যাটনটা নিজের হাতে নিয়েই আরো একটা কাপ জেতার সামনে দাঁড়াইয়া আছেন। এরপর সামনে আনা হলো এমবাপ্পে, কখনও আনা হলো মদ্রিচ বা টনি ক্রুস।
তুলনা করা হলো, বলা হলো, মেসির সময় শেষ। অথচ আজ পেছনে তাকিয়ে দেখি, এমবাপ্পে নাই, মদ্রিচ নাই, ক্রুসও অবসরে। মেসি? এখনও আছে। মেসি কোপায় প্রথম গোলটা করেন ২০০৭ সালের জুলাইতে। এই ২০০৭ সালের জুলাইতে জন্ম নেওয়া ইয়ামালের গোলেই কাল স্পেন ফাইনালে উঠলো। আর মেসির গোলে ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। লিটারালি ছেলের বয়সী জেনারেশনের সাথে খেলে এই মানুষটা এখনও টপ পারফর্মার। পৃথিবীতে বহু ভালো ফুটবলার এসেছে, ভবিষ্যতে আরো আসবে। বাট সেই কাকা থেকে শুরু করে এমবাপ্পে, তিন প্রজন্মের সাথে লড়াই করে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা এমন অসাধারণ ফুটবলার আগে কখনো আসে নাই। ভবিষ্যতে আর কোনোদিন আসবেও না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :