শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ১২:৫৪ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আলবার্ট আইনস্টাইন : মন্থর শিক্ষার্থী থেকে গভীর চিন্তাবিদ

বিপ্লব পাল

বিপ্লব পাল : আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম শুনলেই আজ আমরা সবাই তাঁর অসাধারণ মেধা ও আবিষ্কারের কথা মনে করি। কিন্তু জানেন কি, তাঁর শিক্ষাজীবন একেবারেই সাধারণ ছিল না। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন মন্থর শিক্ষার্থীÑ স্লো লার্নার। তাঁর পিতা-মাতা চিন্তিত ছিলেন যে তাঁদের সন্তান কি আদৌ কিছু করতে পারবে? আইনস্টাইনের জন্ম ১৮৭৯ সালে, উল্ম, জার্মানিতে। ছোটবেলায় তাঁর ভাষা শেখার প্রক্রিয়া বেশ ধীরগতিতে ছিল। ছয় বছর বয়সে তিনি প্রথম কথা বলতে শুরু করেন। এই মন্থরতা দেখে তাঁর পিতা-মাতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

বিদ্যালয় জীবন ও কষ্ট : জার্মান স্কুলে আইনস্টাইন বেশ সমস্যার সম্মুখীন হন। তিনি কঠোর এবং রুটিনমাফিক শিক্ষাব্যবস্থা পছন্দ করতেন না। তাঁর গভীর চিন্তা ও সৃজনশীলতা এই কাঠামোর মধ্যে আটকা পড়ে। আইনস্টাইন বলতেন, বিদ্যালয় ছিল আমার জন্য অত্যন্ত কঠোর এবং বন্দিত্বের মতো। তিনি স্কুলের নিয়মকানুন এবং শৃঙ্খলার প্রতি বিরক্ত ছিলেন। আইনস্টাইন যখন মিউনিখের স্কুলে পড়তেন, একজন শিক্ষক তাঁকে বলেছিলেন, তোমার উপস্থিতি এখানে অবাঞ্ছিত। তুমি স্কুলের নিয়ম ভাঙতে এসেছ। এ ধরনের বক্তব্য তাঁর উপর গভীর প্রভাব ফেলে। 

প্রফেসর ওয়েবারের সঙ্গে বিরোধ : আইনস্টাইনের শিক্ষাজীবনে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ-প্রফেসর ওয়েবারের সঙ্গে বিরোধ। আইনস্টাইন জুরিখের পলিটেকনিক স্কুলে পড়াকালীন প্রফেসর ওয়েবারের অধীনে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁদের মতবিরোধের কারণে আইনস্টাইন প্রয়োজনীয় সুপারিশপত্র পাননি, যা তাঁকে চাকরি পেতে সাহায্য করত। ফলস্বরূপ, টেকনিক্যাল স্কুল থেকে পাস করার পর তিনি ছিলেন একমাত্র শিক্ষার্থী যিনি দুই বছর ধরে কোনো কাজ পাননি।

গভীর চিন্তা ও সাফল্য কিন্তু আইনস্টাইনের সত্যিকারের শক্তি ছিল তাঁর গভীর চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা। তিনি প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় মানিয়ে নিতে পারেননি, কিন্তু তাঁর চিন্তাশক্তি ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীতে পরিণত করেছে। আইনস্টাইন নিজে বলেছিলেন, আমি বিশেষ প্রতিভাবান নই। আমি কেবল গভীরভাবে চিন্তা করি। তাঁর তত্ত্বীয় কাজ এবং অন্বেষণ তাঁকে বৈজ্ঞানিক বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে।  যদি আপনার সন্তান মন্থর শিক্ষার্থী হয় বা স্কুল পছন্দ না করে, তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বরং দেখুন, সে কি গভীর চিন্তাবিদ এবং গভীর শিক্ষার্থী হতে পারে কি না। এটি তাঁদের ভবিষ্যতে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। There is no alternative to Deep Learning-Dont worry about slow learning. 07-09-24 https://www.facebook.com/biplabpal

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়