এম আমির হোসেন: [১] প্রশ্নফাঁসকারী ড্রাইভার আবেদ আলিকে যারা ট্রল করছে তারাও যদি বিসিএস পরীক্ষার আগে প্রশ্ন কেনার সুযোগ পেতো, তবে তার কাছ থেকেই উচ্চমূল্যে প্রশ্ন কিনত। এটাই বাংলাদেশ।
[২] দুর্নীতিবাজদের মধ্যেও ক্লাস ভ্যারিয়েশন আছে। এলিট শ্রেণির দুর্নীতিবাজরা বিদেশে পালানোর পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়, ড্রাইভার শ্রেণির দুর্নীতিবাজরা এর আগেই গ্রেপ্তার হয়। [৩] বিদেশিরা পরদেশ থেকে সম্পদ লুট করে নিজদেশে নিয়ে যায়। বাংলাদেশিরা নিজদেশ থেকে সম্পদ লুট করে পরদেশে নিয়ে যায়।
[৪] অভিজ্ঞ ডাক্তার যেমন দু-একটি হার্ড-সাইন দেখেই রোগ ডায়াগনোসিস করে ফেলতে পারে, তদ্রুপ সোশ্যাল মিডিয়ারও কিছু হার্ড-সাইন আছে। যারা ধর্ম-কর্ম বেশি প্রচার করে/সব কথায় ধর্ম টেনে আনে তারা প্রায়শই ভণ্ড হয়, যে ডাক্তার রোগীদের সাকসেস রিভিউ বেশি প্রচার করে তারা প্রায়শই ভুয়া/অর্ধ-ভুয়া ডাক্তার হয়, যে নারী (কিছু পুরুষও) প্রোফাইলে ফুল-পাখি-পবিত্রস্থান-বাণী ইত্যাদির ছবি টাঙিয়ে রাখে তাদের অতীত ইতিহাস প্রায়শই কলঙ্কময় হয়।
[৫] যারা ভণ্ড বেশি, তাদের ভক্ত বেশি।
[৬] আমজনতাও অতটা ভালো নয়। সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রিটির যারা উচ্চপদে চাকরি করে তাদের বিভিন্ন কাজে জ্যাক হিসাবে লাগানো যাবে এ আশায়ও জনগণ তাদের ভক্ত সাজে। হোক সে আমলা কিংবা সুপারকপ। সেলিব্রিটি ডাক্তারদের স্ট্যাটাসে লাইকার ও কমেন্টারের বিরাট অংশই হলো ফ্রি-চিকিৎসা প্রত্যাশী মানুষ নতুবা ডায়াগনস্টিক/ওষুধ কোম্পানির লোকজন। [৭] তবে যে যা-ই বলুক, কঠিন এই অভিযানটা সরকারকে জারি রাখতে হবে। রাখতেই হবে। বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের আগামীর জন্য। লেখক: চিকিৎসক
আপনার মতামত লিখুন :