শিরোনাম
◈ বিএসএফ ও বিজিবি-র শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক: একমত হতে পারলো না দেড়শো গজের ইস্যুতে ◈ সচিবালয়ে প্রবেশে নতুন নীতিমালা, মানতে হবে যেসব নিয়ম ◈ শহিদ মিনারের সামনে রাষ্ট্রপতির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, হাসিনার ফাঁসি দাবি (ভিডিও) ◈ ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণ ◈ আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ◈ উত্তরায় নিজ ফ্ল্যাটে চীনা নাগরিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার(ভিডিও) ◈ সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করবেন না : আমির খসরু মাহমুদ  ◈ পরাজয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু বাংলাদেশের, শুভ সূচনা ভারতের ◈ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরতকে অবিশ্বাস্যভাবে জটিল ও সংবেদনশীল করবে ভারত ◈ উনি অনেক চিৎকার করছিলো, জোরে জোরে কাঁদতেছিলো: বাসে ডাকাতি ও 'ধর্ষণ' বিষয়ে যা বললেন যাত্রীরা

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:১৬ রাত
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাপের কামড়, ওঝা, চিকিৎসা ও মৃত্যু 

ডা. লেলিন চৌধুরী

ডা. লেলিন চৌধুরী: সাপের কামড় নিয়ে সারাদেশে নতুন করে ভয়ের ঢেউ তৈরি হয়েছে। রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপকে কেন্দ্র করে এ অবস্থার উদ্ভব। প্রতিবছর বাংলাদেশে ৪ থেকে ৫.৫ লাখের মতো মানুষ সর্পদংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে মারা যায় সাড়ে ৭ হাজারের মতো মানুষ। বিশ্বে মোট ৩ হাজার প্রজাতির মতো সাপ আছে। আর বাংলাদেশে আছে ৯১-৯৪ প্রজাতির সাপ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ সাপ বিষহীন। তাহলে কেবলমাত্র ২০ শতাংশ সাপের কামড়ে মৃত্যুঝুঁকি থাকে। বিষধর সাপের কামড় দুই ধরনের হয়ে থাকে। বিষধর সাপ কামড় দিয়েছে, কিন্তু নানা কারণে শিকারের শরীরে বিষ ঢালতে পারেনি। একে বলে বিষহীন কামড়। এ ধরনের কামড়ে সঙ্গত কারণে শরীরে কোনো বিষ্ক্রিয়ার আলামত হয় না। কেবলমাত্র বিষযুক্ত দংশনেই মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে। 

বাংলাদেশে সর্পদংশনের ৯৫ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে সাপেকাটা মানুষের বড় অংশ ওঝা বা গুণীনের শরণাপন্ন হয় এবং এদের বেশির ভাগ ওঝার বিষ নামানো অথবা গুণীনের জড়িবুটিতে ভালো মানে বিষমুক্ত হয়ে যায়। ফলে গ্রামবাংলায় এদের উপর সাধারণ মানুষের রয়েছে গভীর আস্থা। যদিও এখন ধীরে ধীরে অনেকেই আধুনিক চিকিৎসামুখী হচ্ছে। ওঝা/গুণীনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার পর প্রতি ১০ জনের মধ্যে  প্রায় ৯ জনের শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।  বাকি ১ জন বিষের প্রভাবে মৃত্যুবরণ করে। তখন বলা হয় একে কালসাপ/কালনাগে খেয়েছে, কারো কিছু করার নেই। 

হায়াত-মউত উপরওয়ালার হাতে বিধায় মানুষ সে মৃত্যুকে মেনে নেয়। ১০ জন সর্পদংশিত রোগীর ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ৮জন বিষহীন কামড়ের শিকার, বাকি ২ জন যাদের বিষধর সাপ কামড়িয়েছে তাদের অন্তত ১ জন বিষহীন কামড়ের শিকার হলে কেবলমাত্র একজনের মৃত্যুঝুকি থাকে। তবে এই একজনের মৃত্যুও কিন্তু অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করে রুখে দেয়া যায়। সঠিক অ্যান্টিস্নেক ভেনম তৈরি, সেগুলোকে সারাদশে সহজলভ্য করা এবং সাপেকাটা ব্যক্তি দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করলে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি বা অনেক অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়