শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:১৬ রাত
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি পর্যায়ে কাজ হয়েছে বাংলা খেয়াল নিয়ে

কবীর সুমন

কবীর সুমন: জার্মান ভাষায় একটা মধুর গাল আছে, ‘Wie ich sehe, Bildung hat Ihnen keine Schaden anrichten koennen’। বাংলা, যা দেখছি, শিক্ষা আপনার কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। শ্রীযুক্ত নচিকেতা চক্রবর্তী সম্পর্কে অপবাদ দেওয়া যাবে না যে তিনি ইতিহাস সম্পর্কে খোঁজ রাখেন। বিশেষ করে সঙ্গীতের ইতিহাস। যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনা, বিরোধিতা এক জিনিস। যুক্তির ধার না ধেরে ঠাট্টাবিদ্রুপ করা আর এক। শুধু তিনি কেন অনেকেরই ধারণা বাংলায় খেয়াল হয় না। অন্তত ২৭/২৮টা ভাষায় খেয়াল হয়ে চলেছে কোন যুগ থেকে, সেখানে সঙ্গীতরসিক বাঙালির আপত্তি নেই। কেবল বাংলার বেলায় আপত্তি। নামি মানুষদের কথা বললে লোকে মান্য করে বেশি। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর সঙ্গীত কল্পতরু গ্রন্থে লিখেছেন, ‘বাঙ্গালায় খেয়াল হইবে না কেন।’

পশ্চিম বাংলা আর বাংলাদেশ দু’জায়গাতেই বাংলা ভাষায় খেয়াল চর্চা হয়ে আসছে অনেকদিন হলো। আমার ধারণা, পশ্চিম বাংলায় হয়তো অনেক খেয়ালশিল্পী ভাবেন, বাংলায় গাইলে সর্বভারতীয় বাজার পাওয়া যাবে না। তাছাড়া বিভিন্ন রাগে বাংলা খেয়াল বন্দিশও তো জানা থাকতে হবে। বেশকিছুকাল আগে এক রসিক পণ্ডিত বাঙালি লিখেছিলেন, খেয়ালের গায়কি ও আঙ্গিক বজায় রাখলে ইংরিজি বা চীনে ভাষাতেও খেয়াল সম্ভব। ফেসবুকে বাংলা খেয়াল নিয়ে বিস্তর লিখেছি। শ্রী নচিকেতা চক্রবর্তী যদি যুক্তি দিয়ে কথা বলতেন এক রকম হতো। কিন্তু তিনি সস্তা ঠাট্টাবিদ্রুপের সাহায্য নিলেন। আমার প্রস্তাব, বর্তমানে তিনি যাঁর সমর্থনে গান করে থাকেন সেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গিয়ে একবার বোঝাতে চেষ্টা করুন, বাংলায় খেয়াল হয় না। ঠাট্টাবিদ্রুপগুলো বরং তাঁর সঙ্গেই করে দেখুন শ্রীযুক্ত নচিকেতা চক্রবর্তী। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি পর্যায়ে কাজ হয়েছে বাংলা খেয়াল নিয়ে। সে বিষয়ে খবর রাখা? ৬ জুলাই ২০২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়