শিরোনাম
◈ ব্যবসায়ী ট্রাম্পের ‌‘লেনদেনভিত্তিক কূটনীতিকে’ মেনে নিয়েই কাজ করছে বাংলাদেশ ◈ যেসব সিদ্ধান্ত এলো বিজিবি-বিএসএফের সীমান্ত সম্মেলন থেকে  ◈ রাতে পরপর গুলির শব্দ, উদ্ধার হলো ৩ যুবকের মরদেহ ◈ এবার রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট ◈ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে এখন ছাত্ররাই কেন সংগঠন তৈরি করছে? ◈ শিবির নেতার ওপর হামলা, ছাত্রদলকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বার্তা ◈ পশ্চিমতীরে তীব্র অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, আফগানিস্তানকে ১০৭ রানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা ◈ স্ত্রীর সামনে ফিল্মি স্টাইলে যুবদল কর্মীকে কু.পিয়ে হত্যা ◈ সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোয় রেকর্ড হলেও রেমিট্যান্স আয়ে পতন কেন?

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কী লিখি, কেন লিখি

আহসান হাবিব

আহসান হাবিব:  [১] মাঝেমাঝেই মনে হয় কেন এসব লিখছি, কি হয় লিখে? কিন্তু পরক্ষণেই এই চিন্তা হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে, আবার লিখতে বসে যাচ্ছি। এই যে দ্বন্দ্ব এটা কিসের লক্ষণ?  তখন আমার ভাল লাগে, ভাল লাগে এই ভেবে যে আমি এখনো চিন্তা করছি এবং তা প্রকাশের তাড়না আমার ভেতরে তৈরি হচ্ছে।

[২] অনেকেই বলেন লিখছি নিজের জন্য। আমার কখনো এটা মনে হয় না। আমার মনে হয় আমি লিখছি বটে, কিন্তু সেটা আমার জন্য নয়, কারণ আমি যখনই লিখতে বসছি তখনই আমার ভেতর একটা ইচ্ছা কাজ করছে লেখাটা অন্যরা পড়ুক। যদি নিজের জন্যই হতো, তাহলে না লিখলেও চলতো, কারণ যা আমি লিখতে চাই, তা আমি জানি, সূতরাং তা লিখতে কেন হবে আমার জন্য? আসলে লিখি অন্যের জন্য। কিভাবে বুঝি? বুঝি যখন দেখি আমার লেখাটি একজনও পড়লো না, তখন মন বিষন্ন হয়। আবার কেউ যখন পড়ে, কমেন্ট করে, তখন মন ভাল হয়। অর্থাৎ আমার লেখা আমার নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য।

[৩] আমরা লিখে আসলে কি জানাতে চাই অপরকে? প্রধানত আনাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন। আমরা যে প্রেমের কবিতা লিখি, সেটাও কিন্তু আমাদের প্রেমকে কি চোখে দেখি তার বয়ান। কবিতা বাড়তি আনন্দ দেয়, তার ছন্দের জন্য, তার বলবার ভঙ্গির জন্য। কিন্তু প্রকৃতপ্রস্তাব আমাদের সব লেখায় থাকে আমাদের চিন্তার বৈশিষ্ট্য যা আমাদের একে অপরকে আলাদা করে। এই যে চিন্তা যা একজন মানুষকে দার্শনিকভাবে আলাদা করে, তা কি আমরা সবসময় চিহ্নিত করতে পারি? আমার ধারণা পারি না। কারণ এটা সমাজিক বিকাশের বিজ্ঞানের সংগে জড়িত যা বুঝতে হয়। এই যে আমরা কাউকে কাউকে প্রগতিশীল বলি, কিসের ভিত্তিতে বলি? বলি তার সমাজবিকাশে ভূমিকা কি তা শনাক্ত করে। এই শনাক্তকরণ কিন্তু সহজ নয়। একটি পুঁজিবাদী সমাজে কে প্রগতিশীল তা নির্ধারণ করা হয় শোষিতের পক্ষে দাঁড়াবার জায়গাটি দেখে। আমাদের এখানে এটা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি নাই বললেই চলে। বরং বুর্জোয়া প্রগতিশীলতাকেই এখানে একমাত্র প্রগতিশীলতা বলে মনে করা হয়। [৪] লিখি এটা জানানোর জন্য যে আমি কোন পক্ষের। নিজেকে যেহেতু দাবী করি আমি একজন প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ, তাই আমার পক্ষ শোষিতের পক্ষে। কারণ সমাজকে বৈষম্যহীন একটি সুন্দর সুষম সমাজে বদলাবে যে অগ্রগামী শক্তি,তা এই শোষিতেরা। এটাই এই সমাজের দ্বন্দ্বকে মিমাংসার বিজ্ঞান। লেখক: কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়