শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ১২:১০ রাত
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রেস্টুরেন্টে সার্ভিস চার্জ প্রতারণা 

আনিস আলমগীর

আনিস আলমগীর: রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বিল যতোই হোক তাতে আমার মনোকষ্ট না হলেও (যেহেতু জেনেশুনেই যাচ্ছি) রেস্তোরাঁয় ১০ ভাগ সার্ভিস চার্জ দেখলে মেজাজ গরম হয়ে যায়। আমি যে খাদ্য নিচ্ছি সেটা তো সার্ভিসসহ নিচ্ছি তার জন্য আবার আলাদা বিল দিতে হবে কেন। বিক্রি করবে তুমি সার্ভিস কি অন্য জনে দেবে? আর সার্ভিস পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে আমি টিপস দিই না এমন কোনো নজির নেই, মেজাজটা আমার এজন্যই গরম হয়। আইনি দিক থেকে দেখলে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০১৩-স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে রেস্তোরাঁগুলো সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) ২০২২ সালে একটি নির্দেশিকা জারি করে যেখানে বলা হয়েছে যে রেস্তোরাঁগুলো সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে, তবে এটি ঐচ্ছিক হতে হবে এবং গ্রাহকদের স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে অনেক রেস্তোরাঁয় বিলের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ যুক্ত করা হয়। কিছু রেস্তোরাঁয় কোনো সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় না। এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার যৌক্তিকতা কী জানলে চাইলে রেস্টুরেন্টের ওয়েটাররা বলবে, রেস্তোরাঁ কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। রেস্তোরাঁর পরিবেশ ও পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য অর্থ ব্যবহার করা হয়।

এই টাকা তারা সবাই নির্দিষ্ট হারে ভাগ করে পায়। বাস্তবতা হচ্ছে, মালিক কর্তৃপক্ষ এই টাকা দিয়ে তাদের বেতন দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বাধ্যতামূলকভাবে নেওয়া হয়, যা ভোক্তাদের উপর অপ্রয়োজনীয় আর্থিক বোঝা তৈরি করে। সার্ভিস চার্জের পরিমাণ নির্ধারণে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যার ফলে অনৈতিকভাবে বেশি চার্জ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। কর্মীদের বেতন ও সুবিধা উন্নত করার জন্য রেস্তোরাঁ মালিকদের নীতিগত দায়িত্ব রয়েছে, যার জন্য গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হবে কেন। সবচেয়ে বড় কথা এই সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় প্রতারণার মাধ্যমে। দোকানগুলো তাদের খাদ্য তালিকা অনেক সময় প্রদর্শন করে না। গ্রাহকদের কাছে অর্ডার নিতে আসে খালি হাতে, কলম-কাগজ নিয়ে। সার্ভিস চার্জ নেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখে। এর সঙ্গে আছে আবার ১৫ শতাংশ পার্সেন্ট ভ্যাট। শেষ কথা হচ্ছে, ভোক্তা অধিকারের দায়িত্ব যারা সার্ভিস চার্জ নেয় সেই সমস্ত দোকানগুলোতে স্পষ্ট ভাষায় বড় করে এটা প্রদর্শন করতে বাধ্য করা। তাছাড়া ভ্যাটের টাকাটাও প্রাইসের সাথে ইনক্লুড করে দেখাতে বাধ্য করা। আর গ্রাহক হিসেবে আমাদের কি করার আছে লজ্জার মাথা খেয়ে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় কিনা তা জেনে নিন। ৩-৭-২৪। https://www.facebook.com/anisalamgirbd

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়