শিরোনাম
◈ মাঠের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অনলাইনেই সংগঠিত হতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ ◈ রাশিয়ায় কাজের প্রলোভনে নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের (ভিডিও) ◈ মেঘনা নদীর নৌ সীমানায় ডাকাতদলের গোলাগুলি, নিহত ২ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আসন্ন দিনগুলোয় চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে ◈ আবারও বাড়লো ডলারের দাম ◈ বাংলাদেশসহ তিন দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড ◈ ওসিকে পেটানোর হুমকি, সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার ◈ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ কোনটি? জেনে নিন এমন ১০টি দেশ সম্পর্কে ◈ দেখা গেছে শাবান মাসের চাঁদ, আরব আমিরাতে রোজা হবে ৩০টি ◈ ‘যে ৪ শর্তে ফিরতে পারবে আ.লীগ’

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০২:৩৬ রাত
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমরা কতোটা বিজ্ঞানমনস্ক?

মুজিব রহমান

মুজিব রহমান: মূলত একশ বছরেই হয়েছে বিজ্ঞানের বিপুল ও বিস্ময়কর অগ্রগতি। বিশ হাজার বছর আগের মানুষের সাথে তুলনা করতে গেলে ভাবতে হয়, কেন ও কীভাবে নিজেকে বদলালো মানুষ? বনে জঙ্গলে, অন্য পশুদের সাথে সংগ্রাম করা মানুষ এ অবস্থায় এসেছে নিজের প্রচেষ্টায়। একটি শিম্পাঞ্জি, পাখি, মাছ, ফড়িং নিজেকে কতটুকু বদলাতে পেরেছে এ সময়ে। মাছদের ভাবনা অতি সামান্যই। অথচ জন্ম, বেঁচে থাকা, বংশবৃদ্ধি, যৌনতা, খাদ্যগ্রহণ, রেচন, মৃত্যু সবই হচ্ছে একইভাবে। তাদের শারীরিক গঠন, মানুষের চেয়ে কম বিস্ময়ের নয়। মাছদের কাছে পৃথিবী সম্পর্কে ধারণা অতি নগণ্য।  মহাবিশ্ব, চাঁদ সূর্য, স্রষ্টা সম্পর্কে তাদের ভাবনা নেই। একসময় মানুষেরও ছিল না। 

আজও অধিকাংশ মানুষ মৃত্যু ও শরীর নিয়ে ভাবতে গিয়ে বিচলিত হয়ে যায়। এখন সুযোগ রয়েছে ভাবনাকে প্রসারিত করার, বিজ্ঞানের সহযোগিতা নেওয়ার। বহু মানুষ সে যোগ্যতা অর্জন করেছে, আবার অধিকাংশ মানুষ তা করেনি। একটি ইঁদুর কতটুকু জানে পৃথিবী ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে। একজন অগ্রসর মানুষের তুলনায় খুবই কম। কিন্তু আমাজানের বিচ্ছিন্ন সেই মানুষদের তুলনায় একটি ইঁদুর কতটুকু কম জানে? পাপুয়া নিউগিনির জঙ্গলে থাকা মানুষদের সাথে কতোটা পার্থক্য ওয়ালস্ট্রীটের রাঘববোয়ালদের? আমাজানের ওই বিচ্ছিন্ন অ-পিগমি মানুষের শরীরের সাথে পাশ্চাত্যের একজন উন্নত মানুষের শরীরগত পার্থক্য বেশি নয়। এদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলে সন্তানও উৎপন্ন হবে। 
বাংলাদেশের একজন অগ্রসর চেতনার মানুষের জানার পরিধীর ধারেকাছেও থাকে না বহু সাধারণ মানুষ। একদিন এক চায়ের দোকানে একজন মানুষকে দেখলাম যিনি জটিল দরিদ্র রোগীদের পীর/ফকিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি অন্যদের জানাচ্ছিলেন, হাজার হাজার টাকা খরচ করার পরেও ডাক্তার কিছু করতে পারেনি কিন্তু বাবার। আমি ভাবছিলাম, এখনো কতো মানুষ ভণ্ডবাবাদের বিশ্বাস করে জটিল রোগের চিকিৎসাও নিয়ে আসে বাবার কাছ থেকে। বাস্তবিক ভণ্ডবাবাদের ফু তে কারোরই অসুখ ভাল হবে না, কারোর গর্ভেই সন্তান আসবে না। অথচ লক্ষ লক্ষ মানুষ বাবার দরবারে যায় নিস্কৃতির আশায়। দক্ষিণ এশিয়ার খুব কম মানুষই মানসিকভাবে বন্য মানুষদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছে। 

অন্ধ বিশ্বাস তাদের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে আগানোর পথে। তারা মূলত অমন মধ্যসত্ত্বভোগী অসংখ্য ভণ্ড-প্রতারকদের শিকার হয়েই আগাতে পারে না। কেউ রোগ সারাতে চায়, কেউ পুলসিরাত পার করাতে চায় কিন্তু তারা ইহজাগতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে না। তাদের কারণেই দক্ষিণ এশিয়ার দুইশ কোটি মানুষের ৯০ ভাগের ভাবনাই ওই জঙ্গলে থাকা পিএনজির মানুষের মতোই। যাদের সাথে একটি শিম্পাঞ্জির ভাবনার পার্থক্য খুব বেশি নয়। দ্রুত বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার ঘটাতে না পারলে বিশ্বাসব্যবসায়ীদের থামানো যাবে না। মানুষের অগ্রগতিও দ্রুত হবে না। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়