শিরোনাম
◈ ‌‌‘পোপ ফ্রান্সিস জানতে চাইতেন কীভাবে মাইক্রোক্রেডিট মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে’ ◈ দেশের ৮ জেলায় বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু ◈ সারাদেশের সব পলিটেকনিকে টানা এবার শাটডাউন ঘোষণা ◈ সরকার যেসব শর্ত দিয়েছে মানবিক করিডোরের জন্য  ◈ কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্যের জন্য পাকিস্তান-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ আমরা আরেকটা গাজা হতে চাই না: রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ প্রসঙ্গে ফখরুল (ভিডিও) ◈ অভিনেতা ইরেশ জাকেরের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যা বললেন ◈ প্রথম আলোর ঈদ কার্টুন ইস্যুতে সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন, ৪ মে আদেশ ◈ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য বেতন গ্রেড নিয়ে সুখবর ◈ বিল পরিশোধ না করায় ইউনাইটেড গ্রুপের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইতালির গণমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকার

‌‌‘পোপ ফ্রান্সিস জানতে চাইতেন কীভাবে মাইক্রোক্রেডিট মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে’

ইতালির জাতীয় গণমাধ্যম ‘রাই নিউজ ডট আইটি’তে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গণমাধ্যমটি এই সাক্ষাৎকারটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিরোনামে ড. ইউনূসকে ‘নিপীড়িতদের পোপ ও দারিদ্র্যের ব্যাংকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। 

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আগামী নির্বাচন। ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে নির্বাচনব্যবস্থা পর্যন্ত। তাদের সুপারিশে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি ‘জুলাই সনদ’ করা হবে। তারপর নির্বাচন করব— আশা করি, ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে তা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ইউনূস আরও বলেন, গত গ্রীষ্মে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। 

ছাত্র, তরুণ, শ্রমিকরা ওই আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন। আগের সরকার তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। রাস্তায় গুলি করে তাদের হত্যা করেছে। এতে ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন। আরও হাজারও মানুষ আহত হয়েছেন। অবশেষে সরকার দেশ থেকে পালিয়ে যায়। তখন প্যারিসে থাকা অবস্থায় ছাত্ররা আমাকে ফোন করে। প্রথমে আমি জড়িত হতে চাইনি, যদিও তাদের সাফল্যে মুগ্ধ ছিলাম। তিন দিন তারা লাগাতার আমাকে অনুরোধ করে,  একপর্যায়ে আমি রাজি হই। দেশে ফিরে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করি। তখন পরিস্থিতি খুবই বাজে ছিল, সবকিছু ভেঙে পড়েছিল। আমাদের দায়িত্ব ছিল ভেঙে পড়া সমাজ ও অর্থনীতিকে আবার গুছিয়ে তোলা। 

পোপ ফ্রান্সিস সম্পর্কে মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, বিশ্বের এমন চিন্তানায়কের প্রয়োজন যিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে উঠে মানবজাতিকে একত্র করার জন্য জীবন উৎসর্গ করবেন— যেমনটা পোপ ফ্রান্সিস করেছেন।

গণমাধ্যমটি ড. ইউনূসকে ‘দারিদ্র্যের ব্যাংকার এবং নিপীড়িতদের পোপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে লিখেছে, ইউনুস এবং বার্গোলিও’র (পোপ ফ্রান্সিস) লড়াই ছিল একই সূত্রে গাঁথা- অসমতার বিরুদ্ধে, নিচু তলা থেকে উন্নয়নের সূচনা এবং একটি আরও ন্যায়সঙ্গত পৃথিবী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।

পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল জানিয়ে ড. ইউনূস আরও বলেন, তিনি আমার কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি জানতে চাইতেন কীভাবে মাইক্রোক্রেডিট মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে— এ নিয়ে আমরা বহুবার কথা বলেছি।

গণমাধ্যমটি লিখেছে, পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ড. ইউনূস সুদূর বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ করে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় এসেছেন।

রাই নিউজ আরও লিখেছে, পোপ ফ্রান্সিস ২০১৭ সালে ৯০% মুসলমানের বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। অনুবাদ যুগান্তর। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়