প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মেহরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১ ও র্যাব-১৩–এর যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে র্যাব সদর দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক খুদেবার্তায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
খুদেবার্তায় বলা হয়, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মেহরাজকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে শিঙাড়া খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাঁদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাগ্বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে খুন হন পারভেজ।
ঘটনার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নেতৃত্বে পারভেজকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার পর গত রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত রোববার রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার হন কামাল হোসেন, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তাঁদের সবাইকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।