জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ফেদেরিকো সালাস উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় পাটিনা শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দেখিয়েছে কীভাবে স্থিতিস্থাপকতা, নীতিগত প্রতিশ্রুতি এবং সমতার ওপর মনোযোগ অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনা যায়। ইউনেসকো বাংলাদেশকে শুধু সদস্য হিসেবে নয়, প্রকৃত প্রতিশ্রুতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখে।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে পাটিনা বলেন, ‘আপনার নেতৃত্ব শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, যাঁরা স্বচ্ছ, নীতিভিত্তিক শাসনে বিশ্বাস করেন, তাঁদের জন্যও বিরাট আশা বহন করে।’
প্রধান উপদেষ্টা পাটিনার সফর ও প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ঝুঁকি অনেক বেশি; কিন্তু আমরা জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অধ্যাপক ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বিডা বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন বিনিয়োগকারীদের আস্থার পরিবর্তন চিহ্নিত করেছে। এটি শুধু একটি সম্মেলন ছিল না; বরং বাংলাদেশ যে উন্মুক্ত ও সংস্কার করছে এবং দায়িত্বশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায়, তা তুলে ধরেছে।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, এই মাইলফলক শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতায় সহযোগিতার নতুন পথ খুলে দিয়েছে।
এসডিজিবিষয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোর্শেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।