মনিরুল ইসলাম : আলী রিয়াজ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি কমিশনের সুপারিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে স্প্রেডশিট দেওয়া হয়েছিল দলগুলোকে। বিএনপিও সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি সন্তুষ্টি, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সহযোগিতা করায় বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কমিশনের সহ সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পর তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র কেবল বারবার হোঁচট খেয়েছে তাই নয়; একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এদেশে। এমন পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আবার তৈরি হোক তা আমরা কেউ প্রত্যাশা করিনা৷ যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে, তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াই আমাদের প্রত্যাশা।
স্থায়ী গণতন্ত্রের জন্য জাতীয় সনদ তৈরি করাই ঐকমত্য কমিশনের মূল লক্ষ্য জানিয়ে কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র যেন হোঁচট না খায় সেই ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় কমিশন। বিএনপির পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে একমত হয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে, কিছু বিষয় দ্বিমত রয়েছে যদিও।’
এ সময় টেবিলের দুই প্রান্তে বসলেও সবাই এক উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিএনপির ভূমিকা জনগণের কাছে সমাদৃত। তাদের সংগ্রামের বিষয়ে কৃতজ্ঞতা।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন-কমিশনের সদস্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া ছিলেন-দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মনিরুজ্জামান খান।