মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেছেন, ‘ইতিহাস কখনো মোছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়।পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কী করবে এটি তাদের ব্যাপার।’
আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘আমাদের অনেক গৌরবের বিষয় আছে, যেগুলো আমরা ইচ্ছে করে বিতর্কিত করতে চাই না। ইতিহাস অমোচনীয় থাকা উচিত।’
মুজিবনগর সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং সাংবিধানিক সরকার উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন,‘এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করেছে। তখনকার নির্বাচিত যে নেতৃবৃন্দ ছিলেন, তারাই এই সরকার গঠন করেছেন। ১৭ এপ্রিল জাতির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।’
এ সময় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধা আছে, তারা প্রতিনিয়ত বিব্রতবোধ করছে। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। এটি গ্লানিকর।’
এরই মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু বিষয়ে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। বিভিন্ন রকমের প্রায় দুই হাজার ৭০০-এর বেশি মামলা আছে। এই মামলাগুলো নিষ্পত্তির প্রয়োজন আছে। আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি।’
উল্লেখ্য, আজ ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে ‘গার্ড অব অনার’ ও জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল জাতীয় নেতৃবৃন্দদের গার্ড অব প্রদানকারী দুই আনসার সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপদেষ্টা।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রাশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স ও আম্রকাননের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা।