শিরোনাম
◈ আমরা পাকিস্তান-ভারতসহ সার্কের সবার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি: প্রেস সচিব ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক কাল ◈ নির্বাচনের জন্য এক লাখ ৭০ হাজার রিম কাগজ লাগবে, ব্যয় ৩৬ কোটি ◈ টিউলিপের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারে ইন্টারপোল ◈ মগবাজারে  ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় যুবককে হত্যা, গ্রেফতার ২ ◈ নতুন দায়িত্ব পেলেন শেখ বশিরউদ্দিন ◈ ছাত্রনেতার কাছে জিলাপি খেতে চাওয়া সেই ওসি প্রত্যাহার ◈ হঠাৎ বিসিবিতে দুদকের অভিযান, তিন‌টি বড় ধরণের অনিয়মের চিত্র উ‌ঠে এ‌লো ◈ ভারতসহ ৩ দেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ◈ ইউনূসের বৈশ্বিক গতিশীলতা এবং বাস্তবতার দ্রুত উপলব্ধি

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবারের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, এবারের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়। তবে ঐতিহাসিকভাবে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, দেশের সকল জনগোষ্ঠী, সকল ঐতিহ্য- সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য সবকিছুর মিশ্রণ এখানে দেখবেন। তবে টিপিক্যাল রাজনীতির কিছু এখানে নেই।

১৯৮৯ সালে চারুকলায় আনন্দ শোভাযাত্রা নামে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল। পরে ১৯৯৬ সালে এটিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম দেওয়া হয়। এবার কর্তৃপক্ষ এটিকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা নাম দিয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চারুকলার একদল শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি, আগে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নাম ছিল বর্ষবরণ শোভাযাত্রা যশোরে। সেখান থেকে ঢাকায় আসার পর নাম হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর চাপানো হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার চারুকলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চারুকলায় যে নামে চালু হয়েছিল সে নামে শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, এটা আসলে বাঙালির প্রাণের উৎসব আর নেই, অনেকদিন ধরে এটাকে আমরা বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। কিন্তু এটা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব। বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারোসহ সকল জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে। ফলে আমরা এটাকে বাংলাদেশের উৎসব হিসেবে পালন করা শুরু করলাম।

নববর্ষকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্যের বড় উপলক্ষ্য উল্লেখ করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং সম্মিলনের একটি বড় ধাপ। আমরা হয়ত ২০-৩০ বছর পর থাকবো না, কিন্তু আজকের বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়