শিরোনাম
◈ শাজাহান খান বললেন, বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি, ‘দিন আমাদেরও আসবে’ মেননকে বললেন ইনু ◈ শিগগিরই ইউরোপে মুক্ত ভ্রমণের দ্বার খুলছে সৌদি নাগরিকদের জন্য ◈ টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ মুক্তির পরও আয়নাঘরে বন্দীরা এখনো আতঙ্কে ! ◈ বাংলাদেশে নববর্ষের নাম পরিবর্তন যেভাবে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ◈ ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক করেছে আনফ্রেল, স্বল্পতম সময়ে একটা জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে ◈ ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায় করা সেই যুবক রিমান্ডে ◈ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ওপর যৌথবাহিনীর ফাঁকা গুলি, আহত ১২ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে ◈ ডিসেম্বর ঘিরে নির্বাচনের প্রস্তুতি, রোডম্যাপ প্রকাশ জুন-জুলাইয়ে: ইসি

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৫৯ দুপুর
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু

ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় দায়ের হওয়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।

দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আজ রবিবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন খালাসের এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের আগে বিচারক বলেন, ‘উনার (মোসাদ্দেক আলী ফালু) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। উনি তো সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। আর তার অবৈধ সম্পদ যদি থাকে, সেটা তো অবরুদ্ধ করতে হতো। সেটাও তো করা হয়নি। সুতরাং এ মামলা থেকে তাকে খালাস দেওয়া হলো।’

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমদ আলী সালাম খালাসের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন রায়ের সময় স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। রায়ের পর তিনি হাসিখুশি মেজাজে নেতাকর্মীদের অভিবাদ গ্রহণ করেন। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। পরে আদালত প্রাঙ্গন ছেড়ে চলে যান।

২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাও আসামি ছিলেন।মামলাটিতে পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যার কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচারকাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট ফালুর আবেদন খাজির করে দেন এবং স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটিতে ফালু পলাতক থাকা অবস্থায় চার্জগঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করে। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ফালু ওই বছর ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পায়।

২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মোসাদ্দেক আলী ফালু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়