শিরোনাম
◈ যদি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়, সরকার অবশ্যই হার্ডলাইনে যাবে : তথ্য উপদেষ্টা ◈ ব্যাংককে শুরু বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন, যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ লন্ডনের পার্কে মা খালেদা জিয়াকে নিয়ে হাঁটছেন তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ◈ যুক্তরাজ্যে হাসপাতালের কেন্টিনে কফির আড্ডায় পলাতক চার মন্ত্রী! ◈ কুমিল্লার চান্দিনায় যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে ◈ অবিশ্বাস্য লড়াই শেষে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ! ◈ ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করা অনৈতিক: মার্কিন আইনপ্রণেতারা ◈ দিনাজপুর মিনি চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সমাগমে সরগরম ও প্রাণবন্ত ◈ তাইওয়ানের চারপাশে চীনের বড় সামরিক মহড়া!

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০২:০৫ দুপুর
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশেও ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা, সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান

বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে যে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে একই মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশেও হতে পারে পরে সতর্ক করেছে বাহিনীটি।

ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪।

ফলে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে:

(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা;

(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;

(৩) সব বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা;

(৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা;

(৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা;

(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সব ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা;

(৭) ভলানটিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা;

(৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়;

(৯) সব পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

উপরিউক্ত বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সতর্কতায় ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সীমিত রাখি।

যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়