শিরোনাম
◈ উচ্চ বেতনের প্রলোভনে নারীদের পাচার: ঢাকায় সক্রিয় নারী পাচারকারী চক্রের ভয়ংকর সিন্ডিকেট ◈ চীনের পণ্যে ২৪৫% শুল্ক, ৩০ দূতাবাস বন্ধের ভাবনা—ট্রাম্পের ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ ঘিরে উত্তেজনা ◈ আওয়ামী লীগে সাকিবের যোগদান ‘নৈতিক বিপর্যয়’ ও ‘ব্যক্তিগত লোভের প্রতিফলন’ : প্রেস সচিব শফিকুল আলম ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের লম্বা সময় ক্ষমতায় থাকা কি সম্ভব? ◈ ইতিহাস মোছা যাবে না, মুজিবনগর সরকারের নাম থাকবে আগের মতোই: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ◈ ‘কাফির’-এ ধর্ষণের দৃশ্যের পর বমি করেছিলেন দিয়া মির্জা, জানালেন মানসিক ধাক্কার কথা ◈ ড. ইউনূস নিয়ে যা লিখেছেন হিলারি ক্লিনটন ◈ ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ায় প্রিমিয়ার ব্যাংকে কোটি টাকার জরিমানা ◈ বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব বৈঠক, কীভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় দুই দেশ? ◈ ছয় দফা দাবিতে বৈঠকে বসছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০১:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও নূর মুহাম্মদ আজমী। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেরেবাংলা হলের প্রথম তলার সিঁড়িতে আবরারের (২২) প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা ৭ অক্টোবর (২০১৯) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ; যাঁদের সবাই বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঘোষিত রায়ে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার বিভিন্ন স্তরের ২০ নেতা–কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। রায়ে বাকি ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেষ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন আকাশ হোসেন, মোয়াজ আবু হুরায়রা, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা ও মুহতাসিম ফুয়াদ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়