শিরোনাম
◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে ◈ বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত ◈ ‘৫ বছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে খরচ ২৩০০ কোটি, তা ৭০০ কোটিতে নামানো সম্ভব’ ◈ নারী সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ কোরআন-হাদিসের লঙ্ঘন, বললেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ◈ রামপালের চেয়ে ৬০% কম: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮.৪৫ টাকা

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৪ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে রাশিয়া বাংলাদেশে ৩০,০০০ টন এমওপি সার সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে

মনিরুল ইসলাম  : বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনালের গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা চেয়েছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি. খোজিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ অনুরোধ জানান।

গ্যাজপ্রম ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং গ্যাস মজুতের অনুসন্ধানে অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।

২০২৩ সালে গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল ভোলায় আরও অনুসন্ধানের জন্য পাঁচটি নতুন কূপ চিহ্নিত করে।

প্রধান উপদেষ্টা ভোলায় পাঁচটি কূপ খননের জন্য গ্যাজপ্রমের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির প্রশংসা করে বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বৈঠকে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

২০২৪ সালে রাশিয়ার গম সরবরাহ বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, ফলে মিশরের পরে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গম আমদানিকারক দেশ হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৩ লাখ টন রাশিয়ার গম বাংলাদেশে পৌঁছায়, যার মধ্যে ৬ দশমিক ২৩ লাখ টন সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত জানান, বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে রাশিয়া বাংলাদেশে ৩০,০০০ টন এমওপি সার সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য রাশিয়ার শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, বিশেষ করে কৃষি ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়কালে রাশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার সংখ্যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সংকটকালীন সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়