শিরোনাম
◈ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে চালু হলো নামাজের কক্ষ ◈ রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মুখোমুখি ◈ আবারও বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের আকার, আগামীকাল সকাল ১১টায় শপথ  ◈ সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ ভারত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যই আমাদের অবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিলের আদেশ ◈ রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার, গ্রেফতার ১৫৫ ◈ বিশেষ কায়দায় শাড়ির প্যাকেটে  ১২ কেজি গাঁজা, এক নারী গ্রেফতার  ◈ ভারতের কারাগারে আড়াই বছরে বাংলাদেশি বন্দির সংখ্যা ১০৬৭ জন ◈ নিজের বানানো হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের জুলহাস মোল্লা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের কারাগারে আড়াই বছরে বাংলাদেশি বন্দির সংখ্যা ১০৬৭ জন

গত আড়াই বছরে ভারতের কারাগারে ১ হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশি বন্দি আছেন বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

কমিশনের সভাপতি বলেন, ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে গত দুই-আড়াই বছরে আটক ১০৬৭ জন বাংলাদেশির নাম ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। আরো তথ্য পাওয়া গেলে কমিশনে পাঠানো হবে মর্মে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম আছে কিনা তার অনুসন্ধান চলমান 

তিনি আরও বলেন, গুম কমিশন অব ইনকোয়ারিতে আজ পর্যন্ত ১৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্য থেকে প্রায় ১০০০টি অভিযোগ ও তার সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রের যাচাই- বাছাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনে আগত ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় ৪৫ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

কমিশনের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছ থেকে ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করা ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম এখনও পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ এবং বিজিবির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্ নামক গুমের শিকার ব্যক্তিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর বর্ডার দিয়ে পুশইন করা হয়েছে মর্মে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধান চলমান আছে। 

এসময় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নুর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য মিজ নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। উৎস: চ্যানেল২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়