ইউএনবি।। বাংলাদেশে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদন দেশটিতে সত্য প্রকাশ, জবাবদিহি, ক্ষতিপূরণ, ক্ষত সারিয়ে ওঠা ও সংস্কারে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।
সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনে মানবাধিকারবিষয়ক বৈশ্বিক হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরার সময় এ কথা বলেন ফলকার টুর্ক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফৌজদারি মামলা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতাসহ প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, গত বছর বাংলাদেশে তৎকালীন সরকার শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলন ‘নির্মমভাবে দমন’ করে, যাতে তীব্র সহিংসতা হয়। এতে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।
ফলকার টুর্ক আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করছে। দেশটিতে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দল সম্প্রতি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা সেই যাত্রায় ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রাখবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের জেনেভা অফিস থেকে ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন–সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান ঘিরে জুলাই ও আগস্টে বাংলাদেশে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তুলে ধরা হয় জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধান দলের ওই প্রতিবেদনে।