শিরোনাম
◈ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন বাংলাদেশে দুইজন সেনাপ্রধান  ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি: মুখোমুখি অবস্থানে আন্দোলনকারী-পুলিশ (ভিডিও) ◈ রমজানে কমলো সরকারি অফিসের সময় ◈ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি: বাসার গেট না খোলায় নিরাপত্তাকর্মী আটক ◈ ইলিয়াসকে সোহেল তাজের চ্যালেঞ্জ: প্রমাণ করো, না পারলে নাকে খত দিতে হবে ◈ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান (ভিডিও) ◈ এবার যা বললেন বনশ্রীতে গুলিবিদ্ধ হওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী (ভিডিও) ◈ সাজেকের আগুন আড়াই ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, পুড়ছে রিসোর্ট-কটেজ (ভিডিও) ◈ মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকায় ১৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ◈ কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেন আসিফ নজরুল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক মার্চে,  ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই চার্টার ঘোষণা

মহসিন কবির: দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কয়েকদিন ধরে এ বৈঠক হবে। এ বেঠকের মতামতের ভিত্তিকে জুলাই চার্টার ঘোষণা হবে বলে জানা গেছে। 

তবে গুরুত্বপূর্ণ দলগুলোর সঙ্গে এককভাবে বসবে কমিশন। পরে দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার ইস্যুতে যেসব ক্ষেত্রে ঐকমত্য হবে তার আলোকে চার্টার ঘোষণা করা হবে।

জানা গেছে, ঐকমত্য কমিশন থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ সংবলিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের কপি (হার্ড কপি) পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল, জোটসহ যেসব অংশীজন অংশ নিয়েছিল তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

কমিশন মনে করছে, দলগুলো এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তাদের দিক থেকে পর্যালোচনা করে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে। ওই বৈঠকে দুইপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে একটি অভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। দলগুলোর পক্ষ থেকে কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলা হয়েছে, কমিশন প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে একটি চিঠিও তাদের দিয়েছে। কমিশন তাদের সঙ্গে আবারও বৈঠকেব কথা বলেছে। এজন্য প্রস্তুতি হিসেবে তার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছে। কমিশন নতুন করে বসলে তাদের মতামত তুলে ধরবেন। কোন কোন বিষয়ে একমত কোন কোন বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে সেটা জানাবেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সংবিধান, নির্বাচনি ব্যবস্থা, বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ বিভাগের সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় এই ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফায় বৈঠক করে।

ঐকমত্য কমিশনের ওই বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দলগুলোকে বলেছিলেন, ‘এই জিনিসটা করা হচ্ছে যাতে করে একটা সনদ তৈরি হয়। যেটা হবে জুলাই সনদ বা জুলাই চার্টার। এটিতে যেন আমরা সবাই মিলে একমত হতে পারি।’

বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আমরা আলাদা আলাদাভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব। আমরা জোটগতভাবে কথা বলব। একপর্যায়ে হয়তো আবার সবাইকে একত্রিত করে ফিরে আসব।

ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো কমিশনের প্রতিবেদনগুলো হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পেয়েছি। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি। তারপর সেখানে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।

তিনি আরো বলেন, আমরা আগেই কমিশনগুলোর কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। তারা আমাদের প্রস্তাবগুলোর কিছু গ্রহণ করেছেন। কিছু আংশিক গ্রহণ করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে তারা ভিন্ন সুপারিশ দিয়েছেন। আমাদের কথা হচ্ছে আমরা তাদের কাছে জানতে চাই তারা কোন কোন ইস্যুতে আমাদের কনভিন্স করতে চান সেটা উল্লেখ করুন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন পেয়েছি। এটা নিয়ে এখন পর্যালোচনা করব। পর্যালোচনার জন্য নিশ্চয়ই ৭ থেকে ১৫ দিন সময় আমরা পাব। আমাদের আগেই কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। সেগুলোর আলোকে এবং দলের অবস্থানের ভিত্তিতে এটা পর্যালোচনা করব। দলগুলোকে যখন পৃথকভাবে ডাকা হবে তখন আমরা আমাদের মতামত দেব।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের নতুন বৈঠকের বিষয়ে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐক্য) মনির হায়দার জানিয়েছেন।

ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, তারা দলগুলোর কাছে প্রতিবেদনের হার্ড কপি পাঠিয়েছেন। তারা এগুলো পর্যালোচনা করছেন। চলতি মাসের আর ছয় দিন বাকি আছে। আমরা আশা করছি মার্চের শুরুতে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করতে পারব। এক্ষেত্রে আমরা দলগুলোর সঙ্গে একক ও জোটবদ্ধভাবে বসব বলে আশা করছি। বিশেষ করে বড় দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলাদা করেই বসব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়