শিরোনাম
◈ বেনজীর এবং ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে গোপনে নজরদারি করছিলো শেখ হাসিনা! (ভিডিও) ◈ খেলবেন না সাকিব, ডিপিএল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিলেন ◈ একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের ◈ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ২ ডেডলাইন দিয়েছে: সিইসি নাসির উদ্দিন ◈ ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা ◈ আহতদের দেখতে গিয়ে হাসিনা বলেছিলেন ‘নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ’ (ভিডিও) ◈ ২০২৫ সালের রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ◈ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রশিবির  ◈ ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখলেন ড. ইউনূস ◈ এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ৪ ডিআইজি

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:৫২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২৯ মিলিয়ন ডলার নেওয়া বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সম্পর্কে যা জানাগেল

‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইউএসএআইডির ৫ বছরমেয়াদী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই)।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রকল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৯০ ডলার সহায়তার খবর সপ্তাহখানেক আগের। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’ নামে যে নতুন দপ্তর খুলেছেন, সেই দপ্তর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এই সহায়তার কথা জানায়। তবে কাদের বা কোন সংস্থার জন্য এই সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল, তা জানানো হয়নি। শুধু বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক পরিবেশ শক্তিশালীকরণের’ জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

এরপর বিষয়টি নিয়ে তেমন আলোচনা না হলেও গত শুক্রবার ট্রাম্পের এক মন্তব্যের পর এই সহায়তা কারা পেয়েছে, তা নিয়ে বাংলাদেশে সাড়া পড়ে গেছে। ট্রাম্প বলেছেন, এই তহবিল বাংলাদেশের এমন একটি ফার্ম বা প্রতিষ্ঠান নিয়েছে, যেখানে মাত্র দুজন কাজ করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ শক্তিশালীকরণের নামে এই তহবিল বরাদ্দ ছিল।

গত শুক্রবার মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের এক সভায় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে, যার নাম শোনেনি কেউ, ২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘কল্পনা করতে পারেন! আপনার একটা ছোট্ট প্রতিষ্ঠান আছে, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, ওখান থেকে ১০ হাজার ডলার পান। তারপর হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেলেন!’

সেই তহবিল কারা পেলেন, সে প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দুজন লোক কাজ করে। দুজন! আমি মনে করি, তারা খুব খুশি, কারণ, খুব ধনী হয়ে গেছে। খুব বড় প্রতারক হিসেবে তারা শিগগিরই কোনো নামিদামি বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা পাবে।’

ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউএসএআইডির সব সহায়তা স্থগিত করা হয়েছে। এরপর ডিওজিই ঘোষণা দিয়েছে, তারা মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যয় পর্যালোচনা করছে। সেটি করতে গিয়েই তারা অন্য বহু দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশে সহায়তার তথ্য পেয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইউএসএআইডির পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকলেও পরে মেয়াদ বেড়ে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই)।

তাদের ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পে ইউএসএআইডির অর্থায়নের তথ্য উল্লেখ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সম্পর্কোন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে ডিআইয়ের এই প্রকল্প।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ডিআই এই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা হলেও ইউএসএআইডি বাংলাদেশের পলিটিক্যাল প্রসেস অ্যাডভাইজার লুবাইন চৌধুরী মাসুম এই প্রকল্পের ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন।

লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, লুবাইন চৌধুরী মাসুম ২০১৮ সালের জুলাই থেকে এই প্রকল্পের ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন। ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্প ছাড়াও তিনি ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নির্বাচনকেন্দ্রিক ‘নাগরিক’ প্রকল্প পরিচালনা করছেন।

পলিটিক্যাল প্রসেস অ্যাডভাইজার হিসেবে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পরিচালনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শাসন (ডিআরজি) অফিসকে পরামর্শ ও বিশ্লেষণ সরবরাহ করেন। এ ছাড়া ইউএসএআইডির গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক শাসন, রাজনৈতিক দলকে সহায়তা, নির্বাচন প্রকল্প এবং অন্যান্য সুশাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে এনডিআই সদর দপ্তর পরিদর্শনের পর লুবাইন চৌধুরী মাসুম লিংকডইন পোস্টে ইউএসএআইডির ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিল প্রতিশ্রুতির তথ্য নিশ্চিত করেন। তিন বছর মেয়াদি ইউএসএআইডির এই নাগরিক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস), ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। এটি কনসোর্টিয়াম ফর ইলকেশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেনদেনিংয়ের (সিইপিপিএস) আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

মাইক্রো গভর্ন্যান্স রিসার্চ (এমজিআর) নামের একটি গবেষণা সংস্থার পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘হ্যালো বাংলাদেশ ২.০! গত দুই বছরে এমজিআর, সেইভ ইয়ুথ ও ডিএফটিপি দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণদের জন্য ৫৪৪টি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। কর্মশালার আকারে, প্রশিক্ষণ, কথোপকথন, সামিট, অ্যাকশন প্রকল্পসহ তরুণ গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এবং নাগরিক সংশ্লিষ্টতার জন্য সরাসরি ২২১টি অ্যাকশন প্রকল্প, ১৭০টি গণতন্ত্র সেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ২৬৪ তরুণের কাছে পৌঁছেছিল এমজিআর, সেইভ ইয়ুথ ও ডিএফটিপি! এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন নাগরিক প্রোগ্রামের আওতায় ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস) এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশের উদার সমর্থন ও অংশীদারত্বে সম্ভব হয়েছে।’

আইনুল ইসলাম আইএফইএসের সিনিয়র কনসালট্যান্টের দায়িত্বেও রয়েছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেসি ল্যাবের (এডিএল) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তিনি। ইউএসএআইডি ও আইএফইএসের সহায়তায় এই ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনুল ইসলাম।

এসপিএল প্রকল্প সম্পর্কে লুবাইন মাসুম বলেন, এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক চর্চার উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো। এই লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও সংঘাত নিরসনবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়; নারীদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অংশগ্রহণ বাড়ানো হয়; রাজনৈতিক সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন প্রচার করা হয়। দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনকে প্রকল্পের প্রধান উপগ্রহিতা হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের একটি অংশের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। এর আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়ুথ মোবিলাইজেশন অফিসার নিয়োগ করা হয়।

দ্য হাংগার প্রজেক্ট বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের পাঁচটি বিভাগের ৯টি জেলার ১৫টি উপজেলায় তারা এসপিএল প্রকল্পের কাজ করে। তাদের কাজ হলো ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বিদ্যমান ‘মনিটরিং-ম্যাপিং-মিটিগেশন’ মডেল সম্প্রসারণে সহায়তা করা।

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, প্রকল্প চলাকালে দ্য হাংগার প্রজেক্টের বাংলাদেশ প্রধান ছিলেন অন্তবর্তী সরকারের নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি একই সঙ্গে দ্য হাংগার প্রজেক্টের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অবসরে যান। ১৯৯৩ সালে তিনি এই সংস্থায় যোগ দেন। ২০০৩ সালে তিনি দ্য হাংগার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

এদিকে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য পণ্য সরবরাহ বা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) অব্যাহতির সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল এই কাজে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনকে সঙ্গে নিয়েছে।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বিষয়ে জানতে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ডিআই নিজেকে অরাজনৈতিক সংস্থা হিসেবে উপস্থাপন করে। তবে এর নেতৃত্ব ও কার্যক্রম গণতন্ত্র প্রচারের প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত, যা ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টিঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারা বেশি সমর্থিত।

উদাহরণস্বরূপ, ডিআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট এরিক বেয়ার্নল্যান্ড এনডিআইয়ের সঙ্গে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন, যা মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত।

এছাড়া গ্লেন কাউয়ান নামে ডিআইয়ের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করেছেন এবং প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে কাজ করেছেন।

ইউএসএআইডি ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে ডিআই। গণতন্ত্র প্রচারের ক্ষেত্রে ডিআই আনুষ্ঠানিকভাবে অরাজনৈতিক অবস্থানে থাকলেও এর শাসনব্যবস্থা উন্নয়ন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণতান্ত্রিক বিকাশের প্রচেষ্টা প্রায়ই উদারপন্থী আন্তর্জাতিকতাবাদী মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি সাধারণত ডেমোক্র্যাটদের আদর্শের সঙ্গে মেলে, যেখানে রিপাবলিকানরা বাস্তববাদী এবং সার্বভৌমত্বের ওপর অধিক জোর দেয় এবং গণতন্ত্র প্রচারের পরিবর্তে ভূরাজনৈতিক কৌশলকে অগ্রাধিকার দেয়। সূত্র : আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়