শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে নতুন চাপে ভারত ◈ বাংলাদেশের যে কৌশলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হলো মিয়ানমার! ◈ ফের সাভারে চলন্ত বাসে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট ◈ ফ্লাইওভারে গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, প্রাণ গেল দুই যুবকের ◈ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদশে, পিছিয়েছে ভারত ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক খারাপ হয়, এমন বক্তব্য পরিহার করার আহ্বান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ◈ এবার মার্কিন পণ্যে পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন ◈ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ জুলুম চালাতে পারবে না : ইরান ◈ দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন নিয়ে ড. ইউনূসকে যা বলেন মোদি

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়ন, ভারত যাচ্ছে কারিগরি দল

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে, যার মধ্যে একমাত্র গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৩০ বছরের এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী মার্চ মাসে ভারত সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি কারিগরি দল। 

পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। তবে নদী বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত মনে করেন, কারিগরি দলের পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনার এখতিয়ার নেই, বরং তাদের কাজ কেবল পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের তথ্য বিনিময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।  

গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন প্রসঙ্গে আগের শর্তই বহাল রাখার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি পুনঃমূল্যায়ন করতে চায় বলে জানা গেছে।  

এ প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, '২০২৬ সালের মধ্যে চুক্তি নবায়ন করতেই হবে। আমরা বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে নতুন চুক্তিটি আমাদের মেয়াদে স্বাক্ষর হবে না, সেটি প্রায় নিশ্চিত।'  

তিনি আরও জানান, চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মতামত আসছে। এসব মতামত পর্যালোচনা করেই কারিগরি কমিটি আলোচনায় বসবে এবং মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফর করবে।  

এদিকে, নদী বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, 'এই বিষয়টি কারিগরি কমিটির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আমি নিজেও দীর্ঘদিন এই কমিটির সদস্য ছিলাম। তাদের ম্যান্ডেট স্পষ্ট—তারা পানিবণ্টনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, কেবল তথ্য বিনিময় করতে পারে।'  

তিনি আরও মনে করেন, অভিন্ন নদীগুলোর সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ-ভারতকে যৌথভাবে কাজ করা জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়