শিরোনাম
◈ সরকারের সামনে যত চ্যালেঞ্জ ◈ পিকনিকে গিয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষের হামলায় র.ক্তাক্ত ২০ শিক্ষার্থী (ভিডিও) ◈ আয়না ঘরের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে গেলেন ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাসেম (ভিডিও) ◈ কাসেমের লাশ সামনে রেখে শপথ গ্রহণ করছি, আমরা আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে ছাড়বো: হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জামায়াতকে উদারতা দেখিয়ে বিএনপি উপহার হিসেবে পেয়েছে মুনাফেকি: রিজভী (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে একাট্টা হচ্ছে রাজনীতিবিদরা, মান্নার চা চক্রে বিভিন্ন নেতারা ◈ এসপি ইমনকে সারদা থেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ ◈ ৫ আগস্টের পর আওয়ামীপন্থী বলে গণমাধ্যমের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হয়: জাতিসংঘ ◈ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন জামায়াত আমির ◈ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আয়নাঘরে থাকা বন্ধুকে নিয়ে ফারুকীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

‘আল্লাহ, তুমি আমারে এই বারের জন্য বাঁচাইয়া দাও, আমি আর রাজনীতি টাজনীতি করব না’

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ঢাকা মহানগর ৩৮ (বর্তমান ২৫) নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমন। এর পর আর খোঁজ মেলেনি তার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আজ বুধবার সকালে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান। এদিন ঢাকার কচুক্ষেতে ডিজিএফআই এবং উত্তরা ও আগারগাঁওয়ে র‍্যাবের আয়নাঘর পরিদর্শন করেন তারা।

এবার পরিদর্শন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘আয়নাঘর’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। তিনি বিএনপি নেতা সাজেদুলকে আয়নাঘরে কিভাবে হত্যা করা হয় তার বর্ণনা দিয়েছেন।

ফেসবুকে ফারুকী লিখেছেন, ‘এ রকমই কোনো একটা ঘরে হয়তো আমার বাল্যবন্ধু সাজেদুল ইসলাম সুমনকে আটকে রাখা হয়েছিল। এ রকমই কোনো একটা ঘরে অজানা আশঙ্কায় সে কেঁপে কেঁপে উঠতেছিল।’

গুমের শিকার বন্ধু সাজেদুল ইসলাম সুমনকে স্মরণ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।

তিনি আরও লেখেন, ‘এই রকম একটা ঘরে বসেই হয়তো সে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল- আল্লাহ, তুমি আমারে এই বারের জন্য বাঁচাইয়া দাও। আমি আর রাজনীতি টাজনীতি করব না। আমার সন্তানের জন্য আমারে বাঁচাইয়া দাও। আমার মায়ের জন্য আমারে বাঁচাইয়া দাও।’ 

তিনি লিখেছেন, ‘এ রকমই একেকটা ঘরে আমরা সতেরো কোটি মানুষ আটকা ছিলাম ষোলো বছর। আর গোপনে বলতাম, আল্লাহ এই ডাইনির হাত থেকে আমাদের বাঁচাইয়া দাও।’

ফারুকী লেখেন, ‘সুমনের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয় উত্তরার এক হাসপাতালে লুকাইয়া থাকা অবস্থায়। ওর ভাগনে আবরারের একটা শুট ছিল আমার সঙ্গে। স্পষ্ট মনে আছে ওর শেষ কথা, ‘দোস্ত, আবরাররে তুই ইজি কইরা নিস। নাইলে অ্যাকটিং খারাপ করব’।’

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা লেখেন, ‘এমনই এক জালিমের শাসনে ছিলাম যে তোর জন্য, সুমন, একটা কথাও বলতে পারি নাই। পরে জানলাম মানুষরূপী জানোয়ার জিয়াউল আহসানের নির্দেশে তোরে ইনজেকশন দিয়ে মেরে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়। যে বাবার ঘরে ফিরে সন্তানের সঙ্গে ভাত খাওয়ার কথা ছিল তাকে এই ডাইনির দল শীতলক্ষ্যার মাছেদের খাবারে পরিণত করে।’ 

তিনি লেখেন, ‘এই হায়েনাদের হয়ে যখন কেউ কথা বলতে আসে, আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়। আমি আমার কমপোজার লুজ করি।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়