ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজযাত্রায় এজেন্সির গাফলতি থাকলেই লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা করা হবে।
তিনি বলেছেন, এজেন্সির অবহেলা বা গাফলতির কারণে কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই সৌদি সরকার কিংবা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বহন করবে না।
সোমবার সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
এ পর্যন্ত অর্ধেকের কিছু বেশি এজেন্সি চুক্তি সম্পাদন করেছে এবং আরও অর্ধেকের মত বাকি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সময় আছে আমাদের চার দিন। এর পরে যদি কেউ আমাদের বলে টাইম বাড়ান, এটা আমাদের সুযোগ নাই। এটা আমাদের হাতে নাই। এটা সৌদি সরকারের ব্যাপার।গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি মন্ত্রণালয় থেকে এ সময়সীমার ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আরও কয়েক দফা বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছিল।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। গতকালও এজেন্সিদের আমরা তাগিদ দিয়েছি। তাদের সঙ্গে সভা করেছি। তারা যেন বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মিনা ও আরাফায় তাবু ও ক্যাটারিংয়ের জন্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, বাড়ি বা হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তিগুলো সম্পাদন করবেন।
এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী হজ করতে না পারলে সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই সৌদি সরকার বা ধর্ম মন্ত্রণালয় বহন করবে না।
এ বছর হাজযাত্রীরা সন্তোষজনক সেবা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এরূপ শক্তিশালী একটি কমিটি এ বছর সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়ার কাজটি সম্পন্ন করেছে। এই কমিটি বাড়িভাড়া কোটেশনের পরিপ্রেক্ষিতে দরদাতাদের বাড়িগুলো পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রাথমিকভাবে বাছাই করা বাড়িগুলো দুই বা ততোধিকবার সরজমিনে পরিদর্শন করেছে।
তিনি বলেন, বাড়িগুলোর মান, আনুষঙ্গিক সুবিধা, হারাম শরীফ হতে দূরত্ব, হজ প্যাকেজে প্রতিশ্রুত সেবা ও বাড়িভাড়া বাবদ বরাদ্দ-এসকল বিষয়গুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই কমিটি সর্বোত্তম বাড়িগুলো ভাড়া করেছে এবং বাড়িভাড়া চুক্তিও সম্পাদন করেছে। এ কমিটি বিধি মোতাবেক বাড়িভাড়া করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা করেছে।
এজেন্সির অবহেলায় কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল তো হবেই। আর্থিক জরিমানাও করা হবে। উৎস: যুগান্তর ও নিউজ24
আপনার মতামত লিখুন :