ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ঠেকাতে পুলিশের কী উদ্যোগ ছিল জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। গভীর রাত পর্যন্ত নিজে সেখানে ছিলাম। কোনো সাংবাদিকদের ওপর হামলার তথ্য পাইনি।’ বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরায় কাউন্টার ও ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে বাস সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার রাতে ‘বুলডোজার মিছিলের’ ঘোষণা দিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু ভবন। পরে ধানমন্ডি ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ ঘোষণা দেয়, বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা যিনি ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতে পালিয়ে আছেন। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে, যাদের নেতৃত্বে গত বছরের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, শেখ হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি। পরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফেসবুকে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।
এর আগেই বুধবার বিকেলে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াস হোসাইন ও পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুকে ‘ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল’ ঘোষণা করেন।
সেই আহ্বানে রাত ৮টা থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। লাঠিসোঁটা ও শাবল হাতে ভাঙচুরে যোগ দেন অনেকে। জানালার গ্রিল, কাঠ, ফটকের অংশ ভেঙে নিয়ে যেতে দেখা যায় কাউকে কাউকে।
অনেক ইতিহাসের সাক্ষী ওই বাড়িতে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন আগুন দেওয়া হয়েছিল। বুধবার ব্যাপক ভাঙচুরের পর ভেতরে পোড়ার মতো যা কিছু আছে, তাতে ফের আগুন দেওয়া হয়। এ সময় নারিকেল গাছের পাতাও জ্বলতে দেখা যায়। আগুন জ্বলতে দেখা যায় ৩২ নম্বরের ওই বাড়ির পাশের একটি ভবনেও।
আপনার মতামত লিখুন :