শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় যা বললেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ◈ মধ্যরাতে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে নীলক্ষেতে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা (ভিডিও) ◈ সাত কলেজের ঘটনা ‘দুঃখজনক’, সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান প্রো ভিসি ড. মামুনের ◈ ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ, শিবির সভাপতির বক্তব্য ◈ সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গ্রেপ্তার ◈ ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, নীলক্ষেত নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্র (ভিডিও) ◈ তাসকিনের রেকর্ড, আবারো রাজশাহীর কাছে রংপুর রাইডার্সের অপ্রত্যাশিত হার ◈ এস কে সুরের লকারে তল্লাশি: ডলার-ইউরো, স্বর্ণসহ আরও যা পাওয়া গেল ◈ নাতির বয়সী ছেলে যদি বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে খোঁচা দিয়ে কথা বলে, তা দু:খজনক : মেজর হাফিজ ◈ শাহবাগে মাদ্রাসার শিক্ষকদের লাঠিপেটা নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত পলাতক আসাদুজ্জামান খানের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ : প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ জানিয়েছে যে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কর্তৃক প্রকাশিত গণহত্যার পলাতক আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচার এবং ভুল তথ্যে পরিপূর্ণ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে’ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতে আত্মগোপনে থাকা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তথ্য যাচাই না করেই তার মিথ্যাচার প্রচার করেছে।’

কামাল তার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘গত বছরের ৩ থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি পুলিশ স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র পুলিশ স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, থানা থেকে মোট ৫,৭৫০টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে এবং এর বেশিরভাগই ৫ আগস্ট লুট করা হয়েছে।

লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশ ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৩৫৮টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং বাকিগুলো উদ্ধারে অভিযান এখনও চলছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় মোট ১১৪টি থানায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৫৬টি থানা ভাঙচুর করা হয়েছে, সব থানাই এখন কার্যকর।

কামাল তার সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছে। এটি আরও প্রমাণ করে যে, শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা ও প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আহত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার হাসিনা তার সহযোগীরা এবং তার দলের এখনও কোনও অনুশোচনা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে কামাল বাংলাদেশের আদালতে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং হাসিনা ও তার অনুসারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে তারই প্রমাণ।

কামাল দাবি করেন, এসব হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি হওয়ার পর খুনের শিকার ৫৪ জন ব্যক্তি ফিরে এসেছেন। তার এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কোনও সরকারি বা স্বাধীন সূত্র দ্বারা যাচাই করা ছাড়াই এটি প্রকাশ করেছে।

কামাল দাবি করেছেন, বাংলাদেশের ‘গণমাধ্যম সম্পূর্ণরূপে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিয়ন্ত্রণে।’

তবে প্রেস উইং দাবি করেছে, এটি একটি অত্যন্ত ভুল বক্তব্য, কারণ ২০২৪ এর ৮ আগস্টের পর থেকে কোনও স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কোনও সরকারি সংস্থার দ্বারা কোনও বাধার সম্মুখীন হয়নি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

সূত্র/বাসস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়