শিরোনাম
◈ প্রস্তু‌তি ম‌্যা‌চে পাকিস্তান এ’ দলকে ১৬৭ রা‌নে হারা‌লো  বাংলাদেশের মেয়েরা ◈ বাংলাদেশ বিশ্বের শক্তিশালী ৫০ দেশের তালিকায়  ◈ গতি বাড়ছে অর্থনীতিতে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪.৪৮ শতাংশ ◈ প্রশাসনকে না জানিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: হুঁশিয়ারি শ্রম সচিবের ◈ পাঁচ ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ◈ সরকারি ফার্মেসি চালু হচ্ছে সারাদেশে , স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ ◈ পড়ালেখা করেও সঠিক শিক্ষা পায়নি দুর্নীতিবাজরা: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ এশিয়ায় ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত: মুডিস ◈ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলা‌দেশ টেস্ট দল ঘোষণা.  স্কোয়া‌ডে আ‌ছেন সাকিব, নেই তাসকিন আহ‌মেদ ◈ ভাঙচুর-লুটপাটে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয়: সালাহ উদ্দিন আহমেদ

প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:১২ বিকাল
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেউ পদ–পদবি দখলে কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, খুনিদের বিচারে গুরুত্ব নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ–পদবি দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, কিন্তু খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের ওপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োজন ছিল, সেদিকে আপনারা ফোকাস করেননি।’

আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা যত বেশি চাপে রাখবেন, আমরা তত বেশি এই বিষয়টাকে (বিচার) সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় চেষ্ট থাকব। আপনারা যত বেশি অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা রাষ্ট্রকে এবং জনগণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তত বেশি এজেন্ডা ভিত্তিক সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাব।’

আজকে যে ঐক্যের প্রয়োজন, ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোনো বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ছাড়া, সংস্কার ছাড়া এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরূহ বলে উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা কম হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কী সেটা আমাদের বলবেন। আমরা সেটায় যেন যৌক্তিক সমাধানের জায়গায় যেতে পারি, সেটা সুনির্দিষ্ট ভাবে আমরা পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে চ্যালেঞ্জের প্রধান জায়গাটা হলো, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলাম, সেই লক্ষ্য, সেই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা, সেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার যে ঐক্য, সেই ঐক্যটাতে যে ফাটল ধরেছে সেই ফাটলটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’

হরহামেশায় অনেক মিথ্যা মামলা হয়েছে এমন প্রশ্ন এসেছে—উল্লেখ করে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পার্সোনাল গ্রাজ এক্সপোজ (ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ) করার জন্য মামলা দিয়েছেন, আসামির খাতায় নাম দিয়েছেন, এই মামলাগুলোর পরিণতি কী হবে এবং এটার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে মামলা তার কোনো কনফ্লিক্ট (সংঘাত) হবে কিনা! আপনাদের আইনিভাবে, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে সে ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল–১৯৭৩ এর ১৯ নম্বর আইন।

সেই আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ অনেকগুলো অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যেই অপরাধগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ঘটানো হয়েছে তার বিচার হবে। সেটি একটা দুইটা স্পেসিফিক ঘটনার দরকার নেই। ইনজেনারেল সেটার বিচার হবে।

ওই আইনেই বলা আছে, দেশের অন্যান্য আইনে যা–ই বলা থাকুক না কেন, ওইটার বিচার ওখানে হবে। অর্ডিনারি গুমের বিচার, খুনের বিচার, নির্যাতনের বিচার, নিপীড়নের বিচার, এইগুলো অর্ডিনারি কোর্টে হতে কোনো বাধা নেই এবং সেটাও চলবে।’

এই বিচারটায় আমরা কি প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি, এমন অনেক প্রশ্নও আসছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না। আমরা বিচার করতে চাচ্ছি। কেন বিচার করতে চাচ্ছি? আমরা আগামী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটি দায় থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছি।’ উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়