এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, হাছান মাহমুদ, ওবায়দুল কাদের মতো লোকগুলো কীভাবে পালিয়ে গেল সেই উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হবে। একইসঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক প্রসিকিউটররাও (পিপি) পালিয়ে গেছে। ৫১ জেলা থেকে পিপিরা গায়েবি মামলার তথ্য পাঠিয়েছে।
জুলাই গণহত্যার বিচারে কোনো গাফিলতি হবে না বলে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই গণহত্যার বিচার ২০২৫ সালের বিজয় দিবসের আগেই সম্পন্ন করা হবে। তড়িঘড়ি করে বিচারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না। বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঐক্য সংস্কার নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত গুম হত্যা বিষয়ক সংলাপে এ কথা বলেন আসিফ নজরুল।
আজকের অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল, নির্বাচন সংস্কার কমিটির প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও ছাত্রনেতারা।
শূন্য হাতে ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু করতে হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, সকল সমস্যা কাটিয়ে বিচারকাজ দ্রুতই করা হচ্ছে। গণহত্যার বিচার নিয়ে যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে লক্ষ্যে যৌক্তিকতা বজায় রেখেই বিচার সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে- গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।
এ সময় চিফ প্রসিকিউটর জানান, আগামী এক বছরের ভেতর ট্রাইব্যুনালে গুম ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী সব ধরনের বিচার শেষ করা হবে।
এদিকে, যারা প্রকৃত দোষী, তারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে কি না সেদিকে নজর দেয়ার অনুরোধ জানান রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেন, এই গুম ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতরা এখনো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বহাল তবিয়তে আছে।
সংলাপে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য এবং বিগত সরকারের আমলে যারা গুম হয়েছিলেন তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা।
সংলাপের দ্বিতীয় সেশন শুরু হবে বেলা আড়াইটায়। এতে সংস্কারের দায় ও নির্বাচনের পথরেখা বিষয়ে কথা বলবেন বক্তারা। সব শেষ বিকেল পৌনে ৫টায় ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিষয়ে হবে পঞ্চম অধিবেশন। উৎস: একুশে টেলিভিশন ও এখন টিভি।