শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৭ বিকাল
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নড়েচড়ে বসেছে দুদুক, অনুসন্ধানের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে

মহসিন কবির: গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দুদকের কাজে অনেকটা গতি ফিরেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আবার নড়েচড়ে বসেছে সংস্থাটি। গত ১৫ বছরের দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে চায় তারা। সম্প্রতি এক দিনেই সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক স্মারক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫০০ কোটি ডলার লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।

বিদেশে অর্থপাচারে জড়িত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে শুধু ১০টি প্রতিষ্ঠান ও চার ব্যক্তিই আমেরিকা, লন্ডন, কানাডা, সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন ৮০ বিলিয়ন (আট হাজার কোটি) ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা (এক ডলার ১১৯ টাকা ধরে)। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সর্বপ্রথম ওই ১০টি প্রতিষ্ঠান ও চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশনে’ যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে অতিসম্প্রতি এই ‘হিটলিস্ট’ তৈরি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আগস্টের মাঝামাঝিতে ওই সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং সাবেক ও বর্তমান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত তিন সপ্তাহে প্রভাবশালী ৬০ জন সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।

এ তালিকায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাবেক সেনাপ্রধানও রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, ব্যাংকঋণ ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, অর্থপাচার, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ৩০০ ব্যক্তির তালিকা ধরে অনুসন্ধানে যাচ্ছে দুদক। কমিশনের শতাধিক কর্মকর্তাকে এতে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই ডজন কর্মকর্তাকে এসব অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য গত এক সপ্তাহে ২০ জনকে তলব করলেও তারা দুদকে হাজির হননি। এমনকি সময় চেয়েও আবেদন জানাননি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বেনজীর পরিবারের নামে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ দুদক আগেই পেয়েছিল। নতুন করে সংস্থাটি আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস। এ ছাড়া দুদক বেনজীর পরিবারের আরও প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমির খোঁজ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।

প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার (অব.) খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের সম্পদ ও অর্থের খোঁজে ৬৩টি ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দফতরেও দুদক চিঠি দিয়েছে। ২২ অক্টোবর সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের নামে ৩৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯ টাকা লেনদেনেরও তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি‌ দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তাদের নামে ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক।

বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২৯ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।

দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা সম্পদ অর্জন এবং পাচারের অভিযোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানসহ চার সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২৮ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সাবেক মন্ত্রী ছাড়া বাকি তিনজন হলেন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), দিনাজপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ইকবালুর রহিম ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৮ আগস্ট দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আছাদুজ্জামান মিয়া ও হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল, মেয়ে নাফিসা কামাল, ফেনী-২ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৮ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ এবং বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের সঙ্গে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাকসুদের অভিযোগও অনুসন্ধান করবে দুদক।

দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম ৮ সেপ্টেম্বর বলেছেন, দুদকের গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর এখন প্রকাশ্যে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিচার বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অনেকেই অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হাজার কোটি টাকার মালিক। অনেকের আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে দেশে ও বিদেশে। কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেছেন বেশ কয়েকজন। শত শত বিঘা জামির মালিকানা অর্জন করেছেন কয়েকজন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের ৫১ জনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে। ১৪ অক্টোবর একটি গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। 

দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও ময়মনসিংহ-১০ আসনের সাবেক এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলসহ সাবেক ১০ জন এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এই ১০ জন সাবেক এমপির বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে।

ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, নেত্রকোনা-৪ আসনের সাবেক এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার, কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহের, নীলফামারী-১ আসনের সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি হোসনে আরা ও রাঙ্গামাটি আসনের সাবেক এমপি দীপংকর তালুকদারের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করবে দুদক।

এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, সহ-সভাপতি বৃষকেতু চাকমা, অংসিপ্রু চৌধুরী ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক রেমলিয়ানা পাংখোয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে সংস্থাটি।

দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহি:ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লার দুই সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলার একজন সাবেক চেয়ারম্যান ও একজন সাবেক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছে কুমিল্লা দুর্নীতি দমন কমিশন। এরা হলেন কুমিল্লার বরুড়ার আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া স্বতন্ত্র সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহের, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাই গোলাম সরওয়ার এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জমির উদ্দিন খান জম্পি। দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লার উপ পপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিয়ন) ‘৪০০ কোটির মালিক’ জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রীর কামরুন নাহারের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়। সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়