শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৮ বিকাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুমের পর অনেককেই মাথায় গুলি করে হত্যা, মরদেহ ফেলা হয় নদীতে : তদন্ত কমিশন প্রতিবেদন

গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ওই প্রতিবেদনের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।

'আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ' শিরোনামে জমা দেওয়া রিপোর্টে কমিশন সদস্যরা এখন পর্যন্ত পাওয়া এক হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গুম করার পদ্ধতির কিছু বর্ণনা আছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুম হওয়া বেশিরভাগ ব্যক্তিকে হয় হত্যা করা হয়েছে অথবা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কমিশন গুমের পর 'মেরে ফেলার পদ্ধতি সম্পর্কে যাচাইকৃত বিস্তারিত প্রতিবেদন' পেয়েছে। একটি কার্যকর পদ্ধতি হলো মাথায় গুলি করা। এরপর মরদেহ সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, 'র‌্যাবে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তারা এই পদ্ধতিকে মরদেহ ডুবিয়ে দেওয়ার আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।'

হত্যার উপযুক্ত স্থান হিসেবে বুড়িগঙ্গা নদী, শীতলক্ষ্যা নদী (কাঞ্চন সেতু) এবং পোস্তগোলা সেতুর কাছাকাছি এলাকার উল্লেখ আছে। সুন্দরবনের জলদস্যুদের কাছ থেকে জব্দ করা একটি নৌকার উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে যেটি পোস্তগোলা সেতুর কাছে রাখা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে র‍্যাবের এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয় র‍্যাবের তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান পরিচালিত একটি সেশনে 'র‍্যাবে ঢোকার অংশ হিসেবে' একটি সেতুতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

র‍্যাবের গোয়েন্দা বিভাগে নিযুক্ত আরেক সৈনিকের বরাতে এতে বলা হয়, 'এক ভুক্তভোগী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।  তাকে নদী থেকে উঠিয়ে আনা হয় এবং পরে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়।'

কমিশনের এই অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বিস্তারিত অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। এতে বলা হয়, কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও মুক্তির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়